পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে হুমকি, চাঁদাবাজ তকমা দিলেন আওয়ামী নেতা পরিচয়ধারী হান্নান শেখ
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ধারী হান্নান শেখ। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর মীরপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মতিউর রহমান মামুনকে চাঁদাবাজ তকমাসহ বিভিন্ন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মিরপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ধারী হান্নান শেখের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, হান্নান শেখের বাড়ি গোপাল গঞ্জে। রাজধানীর মীরপুরে গার্মেন্টসের পোশাক কেনাবেচার দালালি করেন। এলাকায় নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে চলেন। পরিচয় দেন শেখ সেলিম ও কচি ভাইয়ের কাছের লোক হিসেবেও।
ভুক্তভোগী গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মতিউর রহমান ব্যাবসায়িক কারণে বিভিন্ন ভাবে কয়েক দফায় স্থানীয় হান্নান শেখকে ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা ধার দেন। পরবর্তীতে টাকা চাইতে গেলেই বাধে বিপত্তি। উলটো নানা ভয় ভীতি দেখিয়ে মতিউর রহমানকে চাঁদাবাজ তকমা দিয়ে নানাভাবে হেনস্তা করেন হান্নান শেখ।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মতিউর রহমান মামুন বলেন, ''২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে মিরপুরের থানা আওয়ামী লীগের সদস্য হান্নান শেখ কয়েক দফায় বিভিন্ন অযুহাতে আমার কাছে থেকে ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যাবসায়িক কারণে ধার নেয়। পরবর্তিতে পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমাকে বিভিন্নভাবে আমাকে হেনস্তা করতে থাকে। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ার কারণে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নাম ভাঙিয়ে আমাকে প্রতিনিয়ত ভয় ভিতি দেখায়। কখনো শেখ সেলিম, কখনো কচি ভাইয়ের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করতো। সেই সাথে তার ছেলে ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিলও আমাকে হুমকি প্রদর্শন করে।
কিছুদিন পর একজন পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় আমার সাথে সমঝোতায় বসতে রাজি হয় হান্নান শেখ। কিন্তু সেখানে বিভিন্নে আওয়ামী লীগ নেতার সামনে আমাকে চাপে ফেলে বিভিন্ন ভয় ভিতি দেখিয়ে মাত্র ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। ওইখানে এমন পরিস্থিতি ছিল আমি যদি তাদের ওপর কথা বলতে যাইতাম হয়ত সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারতাম না। ’’
তিনি বলেন, ’’পরবর্তীতে ওই জায়গা থেকে বের হওয়ার পর আনন্দ টিভির সাংবাদিক সোহেল পরিচয়ে একজন সহ আমার পথ আটকানো হয়। এবং আমার কাছে থাকা নগদ টাকা, ফাইল সব নিয়ে চলে যায়। ফাইলের মধ্যে আমার একটা চেক বই ছিল। পরেরদিন সাংবাদিক সোহেল পরিচয়ে ফোন করে আমাকে গালাগালি করে। এবং আনন্দ টিভিতে আমাকে চাঁদাবাজ হিসেবে তুলে ধরে নামে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হয়। আমি এই মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ’’
মতিউর রহমান আরও জানান, ``শুধু আমি না। আমার মত আরও অনেকের কাছে টাকা নিয়েছে হান্নান শেখ। তারমধ্যে আলমগীরের কাছে ৩৪ লাখ, সোহেলের কাছে ৩ লাখ, মোটা সোহেল ২লাখ টাকা, মমতা ১ লাখ, শরিফ ২ লাখ, রফিক ৩ লাখ, রাকিব ২ লাখ এবং মামুন ৩০ লাখ ৭০ হাজার। এখন সেসব টাকা পরিশোধ না করেই পালাতে চাচ্ছে।''
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হান্নান শেখের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।