বাংলা ব্লকেড : সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে ট্রেন চলাচল শুরু
ছবি: সংগৃহীত
প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর ঢাকায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কোট বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকাসহ সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এর আওতায় রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধ করেছিলেন তারা।
বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।
এর আগে দুপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছিলেন, দুপুর ১২টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
এদিকে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে মগবাজার মোড়ে উভয় দিকে ট্রেন চলতে দেখা যায়। এর আগে দুপুর ১২টা বাজার কিছু সময় আগে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাজধানীর কারওয়ান বাজার রেলগেটে রেল লাইনের উপর কাঠের স্লিপার উঠিয়ে দিয়ে অবরোধ করেন। এরপর দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ওইদিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে এই সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায় স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের দিকে এবং বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোন ট্রেন স্টেশনের দিকে চলাচল করতে পারেনি। ফলে ঢাকা থেকে যেসব ট্রেন শিডিউল ছিল সেগুলো বিলম্ব হয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে। সংসদের আইন পাস করে কোটা বাতিল না করা পর্যন্ত সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার সমন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন, আন্দোলন থামাতেই হাইকোর্ট আজকে স্থিতাবস্থার নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা তাদের ফাঁদে পা দিতে চাই না। সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি। সেটি হচ্ছে সংশোধন করা আইন পাস করে কোটা বাতিল করতে হবে। এটি ছাড়া অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
এর আগে আজ সকালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।