শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অপরিকল্পিত নগরায়ণে ট্র্যাজেডি আসে, ট্র্যাজেডি যায় !

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড কিংবা ট্র্যাজেডি নতুন কিছু নয়। কিছুদিন পর পরেই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে। পুরান ঢাকার নিমতলী থেকে বেইলি রোড। এর মধ্যেই ঘুরে ফিরেই যত দূর্ঘটানা। একটি ট্র্যাজেডির রেশ কাটতে না কটেতেই নতুন করে হাজির হচ্ছে অন্য একটি। যেন ট্র্যাজেডি আসে, ট্র্যাজেডি যায়। এসব দূর্ঘটানায় মৃত্যু আর আহাজারিতে ভারী হয় ঢাকার বাতাস। 

আর এসবের পুনরাবৃত্তির মূলে রয়েছে নগরের বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা। মানুষের সুরক্ষার কথা চিন্তা না করে শহরে গড়ে উঠছে বড় বড় অট্টালিকা। গ্রিন কোজি কটেজের মতো শহর জুড়েই ভবনে ভবনে গড়ে উঠেছে হোটেল-রেস্তরাঁ। এসব ভবনে চুলার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সিলিন্ডারের গ্যাস। ক্রেতাদের উঠানামার সিঁড়ি বা লিফট নেই পর্যাপ্ত। এ কারণে এসব ভবন হয়ে উঠেছে অনেকটা টাইম বোম।

বেইলি রোডেই রাস্তার দু’পাশেই অসংখ্য রেস্তরাঁ। এসব রেস্তরাঁর ভবনে আছে আবাসিক ফ্ল্যাটও।

কোনো কোনো ভবনের নিচে বা উপরে আছে বিভিন্ন পণ্যের দোকান। বৃহস্পতিবার গ্রিন কোজি কটেজ নামে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই ভবনটির আশপাশে একই ধরনের বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন রয়েছে। কিছু ভবনের প্রথম ৪ থেকে ৫ তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। সেখানে ভাড়া দেয়া হয়েছে রেস্তরাঁ, কফিশপ কিংবা শপিংমল। রেস্তরাঁর কর্মীরা জানান, ওই এলাকায় অন্তত ৫০টি রেস্তরাঁ রয়েছে। একাধিক বহুতল ভবনে অন্তত ৮ থেকে ১০টি করে রেস্তরাঁ রয়েছে। রেস্তরাঁয় রান্নার কাজে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি রেস্তরাঁগুলোর মাঝে কাঁচের দেয়াল দিয়ে আলাদা করা। নেই ভেন্টিলেশনের কোনো ব্যবস্থা। ওয়াসিস রেস্তরাঁর একজন কর্মী বলেন, এই ভবনে বার্গার এক্সপ্রেস, সেশিয়েট, ক্যাফে জেলাটেরিয়া নামের রেস্তরাঁ রয়েছে। শুধু আমরা ছাড়া ভবনের সবাই সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে। আগুন লাগা গ্রিন কোজি কটেজের পাশেই আরেকটি বহুতল ভবন রয়েছে। এই ভবনেও কেএফসি, পিজ্জাহাট, দোসা এক্সপ্রেস, সেভেন পিক, থ্রিথ্রি ও সিক্রেট রেসিপি নামের রেস্তরাঁ রয়েছে। ভবনটিতে আন্ডারগ্রাউন্ডের পেছনের অংশে অরক্ষিত অবস্থায় একাধিক গ্যাসের সিলিন্ডার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে দেখা গেছে। তবে এসব সিলিন্ডারে গ্যাস না থাকার কথা জানান সেখানকার এক কর্মী। ওই ভবনের চতুর্থতলার রান্নাঘরে সারি সারি গ্যাসের সিলিন্ডার রেখে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভবনের একটিমাত্র সিঁড়ি ঘেঁষেই এমন অবস্থা দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, আশপাশের বিল্ডিংগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে। আবারো টিম যাবে। আবার তাদের সতর্ক করা হবে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করার দরকার তাই করি। রাজউক, সিটি করপোরেশন, তিতাস যে যার যার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করলে আর আমরা সচেতন হলে এই ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে পারি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, আশপাশের সব ভবনেই আমরা নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু আমরা তো জোর করে তাদের উচ্ছেদ করতে পারছি না। আমরা নোটিশ দিচ্ছি এবং অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিচ্ছি। ফায়ার সেফটি প্ল্যান বাস্তবায়ন করার জন্য তাদের বার বার তাগাদা দিচ্ছি। এসব বিষয় আমাদের মন্ত্রণালয়েও জানিয়ে দিচ্ছি।

রাজধানীর ধানমণ্ডির গাউছিয়া টুইন পিক। ১৬ তলাবিশিষ্ট এই ভবনে কাপড়ের দোকান, শোরুমসহ অন্তত দেড় ডজন রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ছয়টি বড় বাফেট লাউঞ্জ। বাকিসব চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টের রান্নাও করা হয় এই ভবনেই। তবে নেই ন্যূনতম অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা। কয়েকটিতে দু-একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলেও কর্মচারীরা জানেন না ব্যবহারবিধি। এমন বেশ কিছু ভবন রয়েছে ধানমণ্ডিতেই। সাতমসজিদ রোডের দুই পাশেও অসংখ্য আবাসিক ভবনে রয়েছে নামিদামি রেস্টুরেন্ট। ধানমণ্ডির ১৫/এ- তে এমন একটি ভবন রয়েছে, যার স্থপতি মুস্তাফা খালিদ। তিনি শুক্রবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অনুরোধ করেছেন কেউ যেন ওই ভবনে না যান। কারণ হিসেবে বলেছেন, ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। নকশা এবং অনুমোদন বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে হলেও এর ব্যবহারে বড় রকমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সার্বিকভাবে একে সমূহ অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ রেস্তরাঁ ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে।

ঢাকার খিলগাঁও এলাকা। গত কয়েক বছরে ওই এলাকাটি আবাসিক থেকে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিকে রূপ নিয়েছে। কোথাও নেই কোনো রকম অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা। ওই এলাকার প্রধান সড়ক যেটি শহীদ বাকী সড়ক নামে পরিচিত তার দুই পাশে শত শত রেস্তরাঁ গড়ে উঠেছে আবাসিক ভবনে। এমনও ভবন আছে যার প্রত্যেক ফ্লোরে রয়েছে রেস্টুরেন্ট। কোনো কোনো ভবনের ছাদেও করা হয়েছে রেস্তরাঁ। উঠানামার জন্য বানানো হয়েছে দুই-তিন ফুট চওড়া অস্থায়ী সিঁড়ি। লাগানো হয়েছে ওয়ানটাইম লিফটও। আবার এমন ভবনও আছে যেখানে রেস্তরাঁ, আবাসিক ফ্ল্যাট এমন কি শিশুদের স্কুলও আছে।

ঢাকার সর্বত্রই এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ রেস্তরাঁ, শপিংমলসহ আবাসিক-বাণিজ্যিক সংমিশ্রণের ভবনগুলো। ফায়ার সার্ভিসের চালানো একটি সমীক্ষা বলছে, রাজধানীর ৯০ শতাংশ ভবন অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২৩ শতাংশ ভবন। বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যানার টানাতেও দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিসকে। তাতেও টনক নড়েনি কারও। মালিকরাও গুরুত্ব দিচ্ছেন না ফায়ার সার্ভিসের দেয়া সতর্ক বার্তাকে।

ভবনের সুরক্ষা প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, ভবন তৈরি করতে প্রাথমিক নিয়মই অনেকে মানে না। ভবন তৈরির পর আরও কিছু কাজ থাকে। ফায়ার সেফটির কাজ থাকে। সেগুলোও অনেকে মানতে চায় না। আমরা সতর্ক করছি। নোটিশ দিচ্ছি। সামগ্রিকভাবে সবাই সচেতন না হলে তো হবে না। সিকিউরিটিকে যেমন গুরুত্ব দেয়া হয়, সেফটিকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা ফায়ার সেফটির প্ল্যান দেই। এটা একটা প্রেসক্রিপশনের মতো। বাণিজ্যিক ভবন, শিল্প ভবন কিংবা আবাসিক ভবন অনুযায়ী আমরা আলাদা প্ল্যান দেই। সেটা দেখে বাস্তবায়ন করলে ভবন সুরক্ষিত থাকে।

বেইলি রোডের ঘটনাটি দুর্ঘটনা নয় বরং অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সহ-সভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে অব্যবস্থাপনার নগরে পরিণত হয়েছে ঢাকা। রাজউকসহ ছয়টি সংস্থা ভবনের বিভিন্ন অনুমোদন দেয়। কিন্তু এই অনুমোদন অনুযায়ী ভবনগুলো যথাযথ হচ্ছে কিনা, ব্যবহার হচ্ছে কিনা এগুলো দেখভাল না করার কারণে চোখের সামনে এই ধরনের মৃত্যুকূপগুলো তৈরি হচ্ছে। এগুলো হলো অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড। এসব হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার, প্রতিকার বা প্রতিরোধ গড়ে তোলা যদি না হয় তাহলে তার পুনরাবৃত্তি হবে সেটাই স্বাভাবিক। বৃহস্পতিবার তাই হয়েছে। এটা অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড ছাড়া অন্যকিছু নয়।

তিনি বলেন, একইরকম অসংখ্য ভবন বেইলি রোড, সাত মসজিদ রোড, বনানী-১১ অথবা মিরপুর-২ এ তৈরি হয়ে ‘টাইম বোমা’র মতো বসে আছে। রান্না প্লাজার মতো ঘটনা আমাদেরকে মাত্র দেড় বছরে পুরো একটি শিল্পখাতকে কমপ্লায়েন্স এ পরিবর্তন করে ফেলেছে। এতে বোঝাই যাচ্ছে আমাদের সামর্থ্য রয়েছে। শুধুমাত্র সিরিয়াস রাজনৈতিক ইনটেনশন দরকার। রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া এর উত্তরণ সম্ভব বলে মনে করি না। ফায়ার সার্ভিসের বার বার নোটিশ দেয়া প্রসঙ্গে স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা কি করে বলে তাদের (গ্রিন কোজি কটেজ) নোটিশ দিয়েছি। তাদেরকে তো সনদও দেয়া হয়েছে। সনদ দিলো কে?

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম বলেন, রেস্তরাঁ করতে হলে বাণিজ্যিক ভবনে করতে হবে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের একটা লাইসেন্স নিতে হবে। আবাসিক ভবনে রেস্তরাঁ করা যাবে না। রেস্তরাঁ করলেও লাইসেন্স দেয়া হবে না।

খবর: মানবজমিন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত