স্বামীকে ফোনে জানান হুড়োহুড়িতে হারিয়ে গেছে ছোট ছেলে, পরে দুই শিশুসহ মায়ের লাশ উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত
নাজিয়া আহমেদ (৩২) তার দুই শিশু ছেলেসহ খাবার খেতে গিয়েছিলেন রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে। তাদের সঙ্গে পরিচিত আরও তিনজন ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ভবনটিতে আগুনে দুই ছেলেসহ নাজিয়ার মৃত্যু হয়।
দুই শিশু সন্তানের নাম আরহান আহমেদ (৭) ও আবিয়াত আহমেদ (৩)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সাততলা ভবনটিতে আগুন লাগে। এই অগ্নিকাণ্ডে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। ভবনটিতে একাধিক খাবারের দোকান আছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।
আজ শুক্রবার ভোরে লাশ বুঝে পায় নাজিয়ার পরিবার। পরে লাশ নিয়ে নোয়াখালীর মাইজদীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন স্বজনরা।
নাজিয়ার স্বজন শাহরিয়ার হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গতকাল রাতে নাজিয়া, তার দুই শিশুসন্তান ও পরিচিত তিনজনসহ ছয়জন ভবনটিতে গিয়েছিলেন। ভবনটিতে আগুন লাগার পর নাজিয়া তার স্বামী সায়েক আহমেদ আশিককে ফোন দেন। ফোনে তিনি জানান, ভবনে আগুন লাগার খবরে হুড়োহুড়িতে ছোট ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছেন না। পরে নাজিয়াকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন।