আদালত প্রাঙ্গণে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, দুই আসামি কারাগারে
ফাইল ছবি
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাগারে যাওয়া দুই আসামি হলেন, ফজলুল হক ও রুবেল।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ওই গৃহবধূ কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
আদালতে কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে স্বামীর সঙ্গে বাদীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর নিয়ে জানতে পারেন, তার অনুমতি ব্যতীত ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন স্বামী। খবর নেওয়ার জন্য এক মাস ঢাকায় তার স্বামীর ভাড়া বাসা মোহাম্মদপুর থানাধীন মন্দির গলি হেলালের বাড়ির ৫ম তলায় উঠেন। স্বামীর সাথে ২০-২৫ দিন থাকার পর তাকে মারপিট করে। পরে তিনি মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করতে যান। জিডির খবর পেয়ে তার স্বামী বাসা ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ বগুড়া চলে যান। বাদী তখন তার গ্রামের বাড়িতে চলে যান। গত ২১ জানুয়ারি তিনি আবার ঢাকায় আসেন।
২৮ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে ঢাকার সিএমএম কোর্ট চত্বরে যান। সেখানে গিয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য একজন আইনজীবী খোঁজ করার সময় আসামি মো. ফজলুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি তাকে তার পরিচিত একজন ভালো আইনজীবী আছে বলে জানায় এবং তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য বলে। বাদী আসামির কথায় বিশ্বাস করে একজন আইনজীবীর সাথে কথা বলার জন্য ২৮ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটায় দিকে কোতোয়ালি থানাধীন ঢাকার সিজেএম কোর্টের মেইন গেট সংলগ্ন পানির পাম্পে ফজলুলের থাকার রুমে নিয়ে যায়।
ফজলুল তাকে রুমের ভেতরে বসিয়ে রেখে আইনজীবীকে ডেকে নিয়ে আসার জন্য বাইরে যায়। কিছুসময় পর ফজলুল তার হাতে চারটি ওয়ান টাইম চায়ের কাপসহ আসামি রুবেল ও অজ্ঞাতনামা আরও একজন আসামিসহ ওই রুমের ভেতরে আসেন। এরপর ফজলুল একটি ওয়ান টাইম কাপে বাদীকে পান করার জন্য এক কাপ চা দেয়। বাদী চা পান করার পর তার তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব আসে। পরে আসামিরা তাকে গণধর্ষণ করেন।