রাজধানীতে ট্রেনে আগুন, নিহত বেড়ে ৫
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার রাত ৯টায় আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে আগুনের মাত্রা যখন কমে আসে তখন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ট্রেনের ভেতরে প্রবেশ করে। এ ঘটনায় ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে জড়ো হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা র্যাব, বিজিবি সদস্য, আনসার সদস্যরা তাদের সরানোর চেষ্টা করছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, ট্রেনে আগুনের ঘটনায় ৭টি ইউনিট কাজ করছে ঘটনাস্থলে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ভেতরে যাত্রী আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমাদের উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। ট্রেনের চারটি বগি পুড়ে গেছে। কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন।
রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেল পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ট্রেনের পাওয়ার কার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এটি নাশকতা নাকি গোলযোগ বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।
এদিকে, ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে ৬ ও ৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পণ্ড ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি। কিন্তু গত ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন বর্জনসহ ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৮৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ২৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অগ্নিসংযোগকৃত যানবাহনের মধ্যে বাস ১৮০টি, ট্রাক ৪৫টি, কাভার্ডভ্যান ২৩টি, মোটরসাইকেল ৮টি ও অন্যান্য গাড়ি ২৯টি।