রাজধানী ঢাকা পুলিশি কার্যক্রম এবং অপরাধ মনিটরিং করতে দুই হাজার ১০০ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হচ্ছে। ক্যামেরাগুলো গুলশান থানা ভবনের চার তলায় অবস্থিত কন্ট্রোলরুম থেকে মনিটরিং করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে এ কন্ট্রোলরুম পরিদর্শন করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, অপরাধীর গতিবিধি লক্ষ্য করা, জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও পুলিশি কার্যক্রমকে মনিটরিং করা হয় এসব ক্যামেরার মাধ্যমে। এগুলো গুলশান, বনানী, বারিধারা, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, কারওয়ান বাজার, গাবতলীসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে।
কন্ট্রোলরুম পরিদর্শনের সময় আইজিপির সঙ্গে আরও ছিলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
এসময় পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বারিধারা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও বনানী সোসাইটির প্রেসিডেন্ট শওকত আলী ভূঁইয়া দিলান উপস্থিত ছিলেন।
আবাসিকতা সংকট নিরসনে উপাচর্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শাখা ছাত্রদল। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রীদের আবাসিকতা সংকট নিরসনে হল নির্মাণ ও ছাত্রদের হল সংস্কারের দাবি জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শাখা ছাত্রদল। আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে উপাচার্য কার্যালয়ে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বিভিন্ন সময় আবাসন সংকট নিরসনে অনশন ,অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। পতিত সরকারের পতনের পর বর্তমানে সম্পূর্ণ বৈধ উপায়ে আসন বণ্টন হলেও পর্যাপ্ত সিট না থাকার কারণে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীদেরও অপকৃষ্ট পরিবেশে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে ,মেস হোস্টেল ভাড়া করে থাকতে হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক মানসিক ও আর্থিক দুরবস্থার বিষয়টি ঢাকা শহরের পরিবেশে প্রেক্ষাপটে বলাই বাহুল্য।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিগত সপ্তাহে হাজী মুহম্মদ মহসীন হল, মাস্টারদা সূর্য সেন হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ভবনের ভঙ্গুর অবস্থা সবার নজরে এসেছে। হাজী মুহাম্মদ মহসীন হলে ২০৪ নাম্বার কক্ষে ছাদের পলেস্তারা ভেঙে শিক্ষার্থী মাসুদ রানার আহত হওয়ার ঘটনা ১৯৮৫ সালের কালো দিবসের ব্যথাতুর ইতিহাস আবারো মনে করিয়ে দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল একমত পোষণ করে জানায়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় জাতীয়তাবাদের ধারক বাহক হিসেবে একটি সত্যিকারের উৎপাদনমুখী শিক্ষাব্যবস্থা ও আদর্শ শিক্ষা পরিবেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন লালন করে । সেই স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ হবে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সম্পূর্ণ আবাসিক ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা। তাই বর্তমানে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল সংস্কার ও পুঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছে তার সাথে ছাত্রদল একমত পোষণ করছে।
এছাড়াও আবাসিক হলের সিট সংকট নিরসনে একাধিক আবাসিক ভবন নির্মাণের পাশাপাশি সাময়িক সংকট মোকাবেলায় কিছু ভবন অধিগ্রহণ করে ছাত্রীদের অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা করা। আবাসিক ছাত্রদের জানমাল নিরাপত্তা বিবেচনায় জড়াজীর্ণ ভবনসমূহ অতিদ্রুত সংস্কার ও প্রয়োজনবোধে পুঃনির্মাণ করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানায় সংগঠনটি।
স্মারকলিপি প্রদানকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিন শাওনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত এবং টিউলিপের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের সময় হওয়া লুটপাট থেকে তার সুবিধা পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে বিচারের জন্য দেশে ফেরত পাঠানো উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ টিউলিপকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের কয়েকজন টিউলিপের বিনামূল্যের ফ্ল্যাট পাওয়া নিয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।
বগুড়ায় বিমানবন্দর চালু করার প্রয়োজনীয়তা ও বর্তমান অবস্থান নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হাসান মাহমুদ খান। ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ায় বিমানবন্দর চালু করার প্রয়োজনীয়তা ও বর্তমান অবস্থান নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হাসান মাহমুদ খান। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বগুড়ার বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন।
হাসান মাহমুদ খান জানান, বিমানবন্দরটি চালু করতে হলে সর্বনিম্ন ৬ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে প্রয়োজন। তবে বর্তমানে সেখানে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৪,৭০০ ফুট। প্রস্তাবিত উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হলে এটি দেশের নবম বিমানবন্দর হিসেবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আগের সরকারকে বগুড়ার বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে একাধিকবার প্রস্তাব দেয়া হলেও সেটি গুরুত্ব পায়নি। তবে নতুন করে সরকারের কাছে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। প্রস্তাব গৃহীত হলে এবং বাজেট অনুমোদিত হলে স্বল্প পরিসরে বিমানবন্দরটি চালু করতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে।
বিমানবন্দরটি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে এবং স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিমান বাহিনী প্রধান।