মেট্রোরেলে হামলার কোনো আশঙ্কা নেই : পুলিশ
ছবি: সংগৃহীত
মেট্রোরেলে হামলার কোনো তথ্য বা আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, ‘নাশকতাকারীরা জানান দিয়ে কোনো অপরাধ করে না। সে জন্যেই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে হামলার কোনো তথ্য বা আশঙ্কা নেই। আমরা প্রতিটি স্থানে প্রতিদিন নিরাপত্তা বাড়াচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মেট্রোরেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছি। আমরা সবকিছু দেখলাম। ছোটখাটো যা করণীয় আমরা নিরাপত্তার খাতিরে আলোচনা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করব। এই বিষয়ে আমরা সকলের সহযোগিতা নিয়ে ডিএমপির প্রতিটি বাহন, মেট্রোরেলের প্রতিটি অংশের নিরাপত্তায় আমার কাজ করব।
‘আপনারা জানেন, মেট্রোরেল পুলিশের অর্গানোগ্রাম (সাংগঠনিক চার্ট) তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এখন একজন ডিআইজি ও তার জনবল রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ সদরদপ্তর প্রয়োজনীয় বাড়তি জনবল দিয়েছে। শুরু থেকে এর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ডিএমপি। আজকেও ১৩২ জন ডিএমপির পুলিশ সদস্য মেট্রোরেল পুলিশের সঙ্গে মিলে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।’
মেট্রোরেলে নিরাপত্তায় নতুন সংযোজন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শুধু সিসি ক্যামেরা থাকলেই হয় না। সেটাকে মনিটরিং করতে হয়, নজরদারিতে রাখতে হয়। নজরদারিতে যদি কারো চলাচলে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায় সেটিকে দ্রুত নোটিশ করতে হয়।
আর এটা করতে প্রত্যেক নিরাপত্তাকর্মীর হাতে ওয়ারলেস সেট থাকবে, যা আমরা দেশের বাইরে দেখেছি। আমাদের হ্যান্ডেল ডিটেক্টর থাকবে। লাগেজ স্ক্যানার বসাতে অনুরোধ জানাচ্ছি। কর্তৃপক্ষ যেন লাগেজ স্ক্যানার ও আর্চওয়ে বসাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। সেই সঙ্গে বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ যেন শনাক্ত করতে পারে; সেই ধরনের মেশিনও রাখার অনুরোধ করছি। কারণ, যোগাযোগের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় যত ধরনের নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় সব নেওয়া উচিত। নগরীর সবাইকে ভালো রাখতে ডিএমপির যে প্রাণান্ত চেষ্টা তারই অংশ এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’
তেজগাঁওয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুনের বিষয়ে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কাজ চলছে। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যান্য কাজসহ তদন্ত চলছে। তবে বলার সময় এখনো আসেনি। আরেকটু সময় লাগবে। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট যারা তদন্তে পারদর্শী তারা সবাই কাজ করছে। আপনারা খুব শিগগির জানতে পারবেন। কোনো ঘটনা ঘটলে বেশিরভাগই চিহ্নিত করা হয় এবং জড়িতরা গ্রেপ্তার হয়।’