রাজধানীর সব খাল দখলমুক্ত করা হবে: এলজিআরডিমন্ত্রী
কয়েকজন মানুষের জন্য রাজধানীর দুই কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হতে পারে না। কল্যাণকর ঢাকা গড়তে যা যা দরকার সবই করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। রাজধানীতে অবৈধভাবে দখল হওয়া সমস্ত খালগুলোকে উদ্ধার করা হবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘উদ্ধারকৃত খাল সংস্কার করা হলে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি নগরবাসীকে একটি আধুনিক-দৃষ্টিনন্দন ও বাসযোগ্য নগর উপহার দেওয়া সম্ভব হবে।’
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যারা সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তারা স্বাভাবিকভাবেই এখন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে সব জায়গায় একটি মেসেজ চলে যাবে যে অবৈধভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করে রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র এখানকার খাল উদ্ধার হবে আর অন্যগুলো হবে না-এমনটা ভাবা উচিত হবে না। ঢাকা শহরের যত জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণ করেছেন বা করার পাঁয়তারা করছেন তারা সতর্ক হবেন। কোনো দখলবাজদের বরদাস্ত করা হবে না।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীর সব খালগুলো একটির সঙ্গে অন্যটির সংযোগ তৈরি করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে একাধিক সভা করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। ঢাকা শহরের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই হবে।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব দিলে খাল উদ্ধার করা সহজ হবে। কারণ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগণ থাকে। সে উদ্দেশেই রাজধানীর কিছু খাল ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দুই সিটি করপোরেশন জোরালো অভিযান চালিয়ে খাল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে, যার ফলাফল এখন দৃশ্যমান।
মন্ত্রী আরো বলেন, আর এটা কখনোই করতে দেওয়া হবে না। রাজধানীতে পরিকল্পিতভাবে ট্রাক ও বাস স্ট্যান্ড নির্মাণ করার কাজ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে যে পরিমাণ রাস্তার দরকার তা নির্মাণ করতে হবে।
তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহরে এখনও ৫৩টি খালের অস্তিত্ব রয়েছে। এসব খাল উদ্ধার করে যদি নৌ চলাচল ও দুই পাশে ওয়াক ওয়ে নির্মাণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন করা যায় তাহলে মানুষ ভেনিস ঘুরতে না গিয়ে ঢাকা শহরে আসবে।
রাজধানীর অন্যান্য খালাগুলো সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ওয়াটার বোর্ডের অধীনে থাকা খালগুলো হস্তান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন থাকা খাল হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাদেক খানসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
জেডএ/এসআইএইচ