উত্তরায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিনে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা । বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে পরিস্থান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাসটিতে যাত্রীবেশে উঠে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়ার সময় গাড়িতে মাত্র ১২ থেকে ১৪ জন যাত্রী ছিল। হঠাৎ গাড়ির পেছন দিকে আগুন দেখতে পান যাত্রীরা। আগুন লাগার পর পরই পেছনের জানালা দিয়ে লাফিয়ে নেমে পড়ে কয়েকজন যুবক।
আগের দুদিনে দেখা গেছে, কম হলেও রাজধানীতে বাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা চলেছে। তবে, সারাদেশের সঙ্গে সড়কে রাজধানীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও রেলে যোগাযোগ চালু ছিলো। গত দুদিনে সাধারণ দিনের চেয়ে সারাদেশে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর টহল ছিল সড়কে। এদিকে গত দুদিনের চেয়ে আজ রাজধানীর প্রধান সড়ক গুলোতে হালকা ও ভারী যানচলাচল বেশ চোখে পড়ার মত ।
এদিকে দেশব্যাপী টানা তিন দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বুধবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ চলাকালে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে অন্তত ২১টি অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছেন তারা। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৫টি, ঢাকা বিভাগে ৭টি (সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ), চট্টগ্রাম (কর্ণফুলী, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড) এবং রাজশাহী (বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও রংপুর) বিভাগে ৪টি করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সারাদেশে ১০টি বাস, ৩টি কাভার্ডভ্যান, ৩টি ট্রাক, একটি পিকআপ, একটি মোটরসাইকেল, দুটি বাণিজ্যিক পণ্যের শোরুম ও একটি পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে অবরোধের আগে থেকেই বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের ফটকে পুলিশের ক্রাইম সিনের বেষ্টনী। তালাবদ্ধ কার্যালয়ের ভুতুড়ে পরিবেশ। একদিকে নেতাকর্মীশূন্য বিএনপি কার্যালয়, অন্যদিকে সেখানকার সড়কে যানবাহন চলছে হাতেগোনা। সব মিলিয়ে গোটা দেশের মতো নয়াপল্টন ও যেন তার চিরচেনা রূপ হারিয়েছে সরকারবিরোধী অবরোধ কর্মসূচিতে।
এ ছাড়া অবরোধ কর্মসূচির আগে থেকেই বিএনপির অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে। এর মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল গ্রেপ্তার হয়েছেন।