কাকরাইলে এস এ পরিবহন অফিসে আগুন নেভাতে যোগ দিল সেনাবাহিনী

ছবি সংগৃহিত
রাজধানীর কাকরাইলে এস এ পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ের গোডাউনে লাগা আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা যোগ দিয়েছেন। সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুটি ওয়াটার বাউজার নিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যোগ দেন।
রাজধানীর কাকরাইলে এস এ পরিবহনের পার্সেল ডেলিভারি শাখায় আগুন লেগে পুড়ে গেছে বহু মালামাল। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও গোডাউনে এখনো আতশবাজি বা পটকা ফোটার মতো শব্দ হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, পার্সেলের মধ্যে আতশবাজি বা পটকা ধরনের কিছু থাকতে পারে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুইটি ওয়াটার বাউজারসহ সেনাবাহিনী একটি অগ্নিনির্বাপন দল ক্যান্টনমেন্ট থেকে এসেছে। প্রতিটি ওয়াটার বাউজারে ২০ হাজার লিটার করে পানি রয়েছে। তারা আগুন নেভানোর কাজ করছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ, এনএসআই, র্যাব, আনসার, সিআইডি, রেড ক্রিসেন্ট, ও স্কাউট সদস্যরা।
এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কাকরাইলে অবস্থিত এস এ পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ের গোডাউনে আগুন লাগে। ১০টা ১৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এরপর একে একে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট। পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে আগুন এখনো পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ আসছে গোডাউনের ভেতর থেকে। টকা বা আতশবাজি বিস্ফোরিত হয়ে এই শব্দ আসছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে আমরা থেমে থেমে কিছু আতশবাজির বা পটকা ফাটার মতো শব্দ পাচ্ছি। আমরা ধারণা করছি গোডাউনের পার্সেলের ভেতরে পটকা বা আতশবাজি জাতীয় কিছু থেকে থাকতে পারে। এটা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে জানাতে পারব।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। সম্পূর্ণ নেভাতে আরো কিছু সময় লেগে যেতে পারে।
