ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় আজ তীব্র যানজট

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাজধানীর কলাবাগান, আসাদ গেট, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, পল্টন, মতিঝিল ও রমনা এলাকায় যানজটে ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী।
অনেককে আধা ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত যানজটে আটকে থাকতে হয়। কর্মজীবীরা ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়েছেন। অনেক এলাকায় যানজটের ভয়াবহতা এতটাই তীব্র ছিল যে, পাঁচ মিনিটের রাস্তা পথ পার হতে সময় লেগে যায় এক ঘণ্টারও বেশি।
তীব্র এই যানজটে ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী। অনেককে আধা ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। ধানমন্ডি এলাকায় এক যাত্রী বলেন, বাসেও উঠেছিলেন। যানজটে আটকে ধীরগতেতে নিউমার্কেটের সামনে এসে আটকে যায় বাস। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন।
তেজগাঁও অঞ্চলের যানজটে অপেক্ষমান চাকুরিজীবী রিয়াদ জানান, সেখানের প্রতিটি রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ সময় ব্যক্তিগত গাড়ি ও পরিবহন দাঁড়িয়ে থাকছে। কেউ কেউ গন্তব্যে পৌঁছাতে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে রওনা দিচ্ছেন।
বিজয় সরণি সিগন্যাল থেকে খেজুর বাগান-খামারবাড়ি হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে বলে জানান আবু রায়হান নামের এক যুবক। তিনি বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে যানজট আরও বেড়েছে। ফার্মগেট খামারবাড়ি এসব এলাকায় গাড়ির চাপ বেড়েছে, ফলে গাড়ির সারি দীর্ঘ হচ্ছে।
শ্যামলী থেকে বাসে করে পল্টনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন এমরান । তিনি বলেন, ১১টায় বাসে উঠেছিলাম, কিন্ত ১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও খামারবাড়ি অতিক্রম করতে পারেননি। কাজ থাকলে সময় নিয়েই বের হই। সকাল সকাল বের হয়েছিলাম। কিন্তু বাসে ওঠার পর থেকেই জ্যাম ঠেলেই যেতে হচ্ছে। একই জায়গায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার স্নেহাশীষ বলেন, গত দুই দিন ঢাকায় প্রচ- বৃষ্টি হয়েছে। এতে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ভাঙা থাকায় যানজট হচ্ছে। এ ছাড়া অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (ভিভিআইপি) চলাচলের কারণে বেশ কিছু সময় এক পাশের রাস্তা বন্ধ থাকায় যানজট বেড়েছে। রাজধানীর কলাবাগান, ধানমন্ডি, জিগাতলা, আসাদ গেট, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, বিজয় সরণি, বাংলামোটর ও রমনা এলাকায়ও যানজট দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মনিবুর রহমান বলেন, টানা দুই দিন বৃষ্টি ছিল ফলে রাস্তায় গাড়ি কম বের হয়েছিল। ছুটি শেষে সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবস ফলে গাড়ির চাপ অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে বেশি। ট্রাফিক সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সড়কে শৃঙ্খলা নিয়ে আসার। সবাইকে অনুরোধ করব ট্রাফিক আইন মেনে চলতে।
