ভ্যাটমুক্ত মেট্রোরেলের টিকিট

রাজধানীতে মেট্রোরেলে যাতায়াত সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয় ও সহজলভ্য করতে টিকিটের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা হয়েেছ। আগামী ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এই ভ্যাটমুক্ত সুবিধা মিলবে। গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে এই ভ্যাটমুক্ত সুবিধা কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২১ মে এনবিআরের প্রথম সচিব মোহাম্মদ হাসমত আলী সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল বাংলাদেশের প্রথম সর্বাধুনিক গণপরিবহন এবং মেট্রোরেল যানজট নিরসনে বড় ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া, এই গণপরিবহনকে জনপ্রিয় করতে যাত্রীদের ব্যয় সাশ্রয় করা দরকার।
বর্তমান ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। মেট্রোরেল পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গণপরিবহন। কিন্তু এতে ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।
তাই ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট থেকে মেট্রোরেল কোম্পানিকে ভ্যাট আরোপের কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। তা আমলে নিয়ে সার্বিক দিক বিবেচনা করে এনবিআর ভ্যাট মওকুফের নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট বসবে না।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাস থেকে প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। আগামী ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর সব প্রস্তুতি দেওয়া হচ্ছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেল লাইন-৬ বাস্তবায়ন করতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা।
এতে অর্থায়ন করে উন্নয়ন সংস্থা জাইকা। শুরুতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণের কথা ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত আরও ১.১৬ কিলোমিটার যোগ হয়ে লাইনের দৈর্ঘ্য হয় ২১.২৬ কিলোমিটার।
নতুন কাজের কারণে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। আর কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেলের কাজ শেষ হতে আরও দেড় বছর সময় বেশি লাগবে অর্থাৎ ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত বছরের ১৯ জুলাই সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয়েছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
জেডএ/এমএমএ/
