রাজধানীতে কসাইসহ গরু চোরচক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার

রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে গরু চোরচক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন কসাই।
রবিবার (১৪ মে) এ তথ্য জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, শুক্রবার (১২ মে) বিকালে গাবতলী ও কদমতলী এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। তাদের কাছ থেকে চুরির ৬টি গরু ও গরু পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— মো. জাকির হোসেন, মো. বিল্লাল মিয়া, ইউসুফ, মো. রিপন, রজব আলী, মো. জুবায়ের, মো. আলামিন ও মো. আলমগীর। এদের মধ্যে জুবায়ের, আলামিন ও আলমগীর কসাই।
ডিবিপ্রধান বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) সিরাজগঞ্জ জেলার কালিয়া কান্দাপাড়া গরুর হাট থেকে একটি গরু চুরি হয়। গরুর মালিক হাট কমিটির সহায়তায় গরুর খোঁজে ঢাকার গাবতলী গরুর হাটে আসেন। তিনি ডিবি পুলিশকেও বিষয়টি অবগত করে সহায়তা চান। একপর্যায়ে শুক্রবার বিকালে একটি পিকআপসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যে পরবর্তীতে কদমতলীর নূরপুর এলাকা থেকে তিনজন কসাইকে আরও ৫টি গরুসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কসাইদের সঙ্গে চোরদের যোগাযোগ থাকত। কিছু ক্ষেত্রে কসাইরা চোরদের অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখত। গরু পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই কসাইরা গরু জবাই দিয়ে গোস্ত বিক্রি করে ফেলত। যার কারণে গরুর মালিক বা পুলিশের পক্ষে গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। যেহেতু গরু কোথাও রাখার প্রয়োজন হতো না ফলে ধরা পড়ার ঝুঁকিও ছিল না। এটা চোরদের কাছে ছিল দ্রুত টাকা ইনকামের সহজ এক ব্যবসা। তারা বেশ কয়েক বছর ধরে বাড়ি বা গরুর হাট থেকে এভাবে গরু চুরি করে কসাইদের কাছে বিক্রি করে আসছে।
তিনি বলেন, এই চোরচক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা উদ্ঘাটন করা হবে। কোন কোন কসাই এই চোরদের কাছ থেকে গরু কিনত, তাদের তালিকা করে অভিযান চালানো হবে।
কেএম/আরএ/
