উৎসুক জনতার ভিড়ে উদ্ধার কাজ ব্যাহত

গুলিস্তানে বিস্ফোরণস্থলে হতাহতদের উদ্ধারের জন্য একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স এলেও, উৎসুক মানুষের ভিড়ের কারণে সেগুলো বের হতে পারছে না। একই কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজও।
উৎসুক জনতার ভিড়ে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলি জানিয়েছেন ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা। ঘটনা তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, জরির রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স বেরোতে বাধা হচ্ছে।
উদ্ধারের কাজ করছে, সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট।
এদিকে, রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের নর্থ-সাউথ রোডের ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। ঢাকা মেডিকেল ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে এ বিস্ফোরণ ঘটে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার কাজ করছে। এ ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও স্থানীয়রাও উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা বলেছেন, নর্থ সাউথ রোডের ১৮০/১ হোল্ডিংয়ে একটা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘সাত তলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার নিচের দুটো তলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি সামগ্রী আর গৃহস্থালী সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। ভবনের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্ফোরণের ধাক্কায়।
সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানা এবং সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণের পর এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় বিস্ফোরণে প্রাণহানি ঘটল। সিদ্দিকবাজারে এত বড় বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট গুলিস্তানে ভবন বিস্ফোরণস্হলে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইএসপিআর।
অন্যদিকে র্যাব জানিয়েছেন, রাজধানীর গুলিস্তানে ভবনে বিস্ফোরনের ঘটনায় ঘটনাস্থলে যাচ্ছে র্যাবের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট।
কেএম/এমএমএ/
