সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণ: মরদেহ নিতে ঢামেকে স্বজনরা
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় শিরিন ম্যানশনের তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত তিনজনের মরদেহ নেওয়ার জন্য স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে অপেক্ষা করছেন।
নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার (৫ মার্চ) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ভবনের তৃতীয় তলায় ফিনিক্স ইনস্যুরেন্সের পাশাপাশি নিউ জেনারেশন নামে আরেকটি অফিস ছিল। সেই নিউ জেনারেশন অফিসেই কর্মরত ছিলেন নিহত তিনজন।
নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রমজান আলী বলেন, রবিবার রাতে ধানমন্ডি পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহত তিনজন হলেন— নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার বটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে সাদিকুর রহমান তুষার (৩১)। রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুলদি গ্রামের মৃত গোমেদ শেখের ছেলে সফিকুজ্জামান (৪৪) ও গাজীপুরের টঙ্গীর কোনাপাড়া এলাকার মফিজউদ্দিন খলিফার ছেলে আব্দুল মান্নান (৬০)।
মৃত সাদিকুরের ভাই সফিকুর রহমান জানান, সাদিকুর বাসাবোর কদমতলা এলাকায় থাকতেন। তিনি শিরিন ম্যানশনের তৃতীয় তলায় নিউ জেনারেশনের এইচআর অ্যাডমিনে কর্মরত ছিলেন।
নিহত মান্নানের স্ত্রী সাহিদা বেগম জানান, লালবাগ পোস্তা ইয়াছিন ব্যাপারী গলিতে থাকি। আমার স্বামী নিউ জেনারেশন কোম্পানির পিয়ন হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে বাসায় নাস্তা খেয়ে টিফিন বক্সে দুপুরে খাবার নিয়ে যায়। যাবার সময় আমাকে বলে আমার জন্য দোয়া করিও ভালো মতো ফিরতেপারি। আমার তার সঙ্গে এই শেষ কথা। কি থেকে কি হয়ে গেল। সংসার চালানোর মতো আমার আর কেউ রইল না।
মৃত সফিকুজ্জামানের বড় ভাই মহিউদ্দিন বলেন, তার ভাই সাভার গেন্ডা এলাকায় থাকতেন। নিউ জেনারেশন কোম্পানির কম্পিউটার অপারেটরের হিসেব কাজ করতেন তিনি। রবিবার সকালে প্রতিদিনের মতো সে অফিসে আসে। পরে জানতে পায় তাদের অফিসে আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে এসে শুনি আমার ভাই আর বেঁচে নেই।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গণি সাবু জানান নিহত তিনজনই একই অফিসে কাজ করতেন। তবে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে তারা কি ভাবে মারা গেছেন। আমাদের তদন্ত চলছে।
আরএ/