পুলিশের লাঠিচার্জে চাকরিপ্রার্থীদের কর্মসূচী পণ্ড
পুলিশের লাঠিচার্জে পণ্ড হয়ে গেছে চাকরিপ্রার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচী। সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে তারা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করলেও সেখানে বেশিক্ষণ অবস্থান করতে পারেননি।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় তারা। এ সময় নিউমার্কেট-পিলখানা রোড, সাইন্সল্যাব-আজিমপুর রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশসহ নীলক্ষেতে হাজির হন রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশীদ। তিনি চাকরিপ্রার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। সেই আহ্বানে সাড়া না পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের রাস্তা থেকে সরাতে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। এতে ১০ চাকরিপ্রার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া তাদের চার চাকরিপ্রার্থীকে আটক করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
তবে চাকরিপ্রার্থীদের কর্মসূচীতে লাঠিপেটার বিষয়টি অস্বীকার করেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল হক ডাবলু। তার ভাষ্যমতে, চাকরিপ্রার্থীদের লাঠিপেটা করা হয়নি। বাঁশি দিয়েই তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কতজনকে আটক করা হয়েছে সে সম্পর্কে তার কাছে সঠিক তথ্য নেই বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকাল ১১টার পরপরই সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে নীলক্ষেত সড়কে অবস্থান নেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেসময় সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক এম এ আলি বলেন, ‘প্রশাসন যদি চার দফা দাবি নিয়ে কোনো প্রকার আশ্বাস না দেয় তাহলে আমরা অবরোধ তুলব না। আমরা চাই প্রশাসন আমাদের একটা বার্তা দিক যে, আমাদের দাবিগুলো নিয়ে তারা আলোচনা করছে।’
আন্দোলননকারীদের চার দফা দাবি হলো–সব চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করা, অতিরিক্ত বেকারদের কর্মক্ষেত্র তৈরিতে বাৎসরিক বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়াসহ নিয়োগ দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ করা ও নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ করা, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করা, একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
এনএইচ/এসএ/