পাতাল মেট্রোরেলের ভৌত কাজের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের কাজ শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) মেট্রোরেল লাইন-১ এর ভৌত কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বিফ্রিংয়ে এম এ এন সিদ্দিক জানান, দেশের প্রথম মেট্রোরেল (লাইন-৬) থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করেছে। এতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ মোট ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আয় করেছে।
এমআরটি লাইন-৬ এর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ গত ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকে আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে চলছে মেট্রোরেল।
এদিকে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের ভৌত অবকাঠামো কাজ শুরু হচ্ছে। ২ ফেব্রুয়ারি এই কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জে ডিপোর জন্য ভূমি উন্নয়ন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে মূলত দেশের পরিবহন খাতে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালনা পর্ষদ গত ৭ সেপ্টেম্বর ডিপোর উন্নয়নে প্যাকেজ-১ এ একটি জাপানি কোম্পানির নেতৃত্বে যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময়সীমা ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে হলে কাজ শুরু হতেই দুই বছর বিলম্ব হয়েছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ নির্মাণ তত্ত্বাবধানের জন্য আগামী ২৩ অক্টোবর আরেকটি জাপানি কোম্পানির নেতৃত্বে যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করবে।
৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-১ এ থাকবে দুটি অংশ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার অংশ নির্মাণ হবে পাতাল (মাটির নিচে)। ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়াল। এই অংশটি হচ্ছে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল (পূর্বাচল রুট) পর্যন্ত।
মোট ২১টি স্টেশন থাকবে দুই রুটে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত থাকবে ১২টি স্টেশন। অপরদিকে পূর্বাচল রুটে থাকবে নয়টি স্টেশন। দুই রুটের যাত্রীরা রুট পরিবর্তন করতে পারবেন নর্দা ও নতুনবাজারে। এখানে থাকবে ভূগর্ভস্থ স্টেশন ও একটি ইন্টারচেঞ্জ।
এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
এনএইচবি/এমএমএ/