মধ্যরাতে ঢাকায় নেমেই বাসার দিকে যাবেন না!
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মধ্যরাতে ঢাকা মহানগরীতে আসা যাত্রীদের বাস থেকে নেমেই বাসার দিকে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে যাত্রাবাড়ীতে ছিনতাইকারীর হাতে নিহত আরিফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
হাফিজ আক্তার বলেন, মধ্যরাতে যারা বাসে ঢাকায় আসেন সেই সময়টা অনেকটাই অরক্ষিত থাকে। ফলে তারা বাস থেকে নেমেই বাসায় যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। এতে ছিনতাইকারীর হাতে অনেকেরই প্রাণহানি ঘটে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য একটু আলো ফুটলে রাস্তামুখী হবেন।
তিনি বলেন, যারা ভোররাতে বাস থেকে নামেন তারা একটু সকাল হলে বাসার দিকে গেলে ভালো হয়। ঢাকায় যেসব জায়গায় পুলিশি ব্যবস্থা থাকে না সেই জায়গাগুলোয় বেশি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এখন রাতের ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, বিট পুলিশ ও থানা পুলিশকে রাজধানীর অপরাধ দমনে সবসময় নির্দেশনা দেওয়া থাকে। কখনও যদি অপরাধ বেড়ে যায়, তখন আমরা বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে চেষ্টা করি তা দমন করার। কিন্তু অপরাধ একেবারে নির্মূল করা খুবই কঠিন। যারা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন, তাদের যদি ভালো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে অপরাধটাও কমিয়ে আনা যায়। এ নিয়ে কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ যেমন অপরাধীদের ধরতে কৌশল অবলম্বন করে, তেমনি যারা অপরাধ করে তারাও তো বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন নিয়ে থাকে। যেখানে সিসি ক্যামেরা নেই, যেখানে কেউ তাকে দেখতে পারবে না, সেখানেই অপরাধগুলো হচ্ছে বেশি। অপরাধের যে ধরন ও প্রক্রিয়া, তা শুধু পুলিশিং দিয়েই একদম নির্মূল করার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। কারাগারে গিয়ে অপরাধীরা সংশোধন বা অন্য কোনো পেশায় যাবে, সেটাও হচ্ছে না।
হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা শহর ২৪ ঘণ্টা কর্মব্যস্ত থাকে। দিনের বেলায় যেমন অফিসে সবাই ব্যস্ত থাকে। রাতের ঢাকায় ব্যাপক হারে ট্রাক প্রবেশ করে। কাঁচাবাজারে বিভিন্ন পণ্য যারা বিক্রি করেন, সেখানে বাজার খুবই সক্রিয় থাকে। যারা রাতের বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে বাইরে থেকে আসেন, তারা যখন গভীর রাতে চলাচল করেন তখন অপরাধীদের ফাঁদে পড়েন। আমরা একটা বিষয় দেখেছি যে, অপরাধীরা সব সময় চেষ্টা করে, তারা যেন ধরা পড়তে না পারে, সেভাবেই তারা অপরাধটা করে। বেশির ভাগ সময় তারা রাতের আধারটাই বেছে নেয়।
তিনি বলেন, অপরাধ যারাই করুক, আমাদের প্রথম কাজটি হলো ঘটনা ও অপরাধীকে চিহ্নিত করা। আমরা অপরাধীকে চিহ্নিত করি। তাদের সবসময় নজরদারিতে রাখতে পারলে অপরাধ কমে যাবে। একটা বিষয় চুরি বা ছিনতাই যারাই করে, ব্যাপক হারে গ্রেপ্তার করতে পারলে কমে যায়। তারা যখন আবার বেরিয়ে (জেল থেকে) আসে, এখন আবার ঘটনা বেড়ে যায়।
কেএম/এএস