রাজধানীর রূপনগরে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
রাজধানী রূপনগর ‘ট’ ব্লকের সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী মায়াকে (৩৭) হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) ভিকটিমের ভাই মো. আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন রূপনগর থানায়। রবিবার রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলেন- শিপন ও মো. আসাদুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছুরি ও জ্যাকেট জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ডিসি অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন উপ-পুলিশ কমিশনার (মিরপুর বিভাগ) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।
তিনি বলেন, আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এক আসামির রিমান্ড ও আরেক আসামির জবানবন্দি নেওয়া হবে।
ঘটনার মোটিভ কি ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোটিভের বিভিন্ন দিক আমরা খতিয়ে দেখছি। আসামিদের দুজনের একজন ভিকটিমের বাড়িতে থাকতেন। অন্য আসামি পাশের আরেকটি বাড়িতে থাকতেন। আসামিদের এই বাসায় আসা-যাওয়া ছিল।
শিপন ভিকটিমের ভাড়াটিয়া ছিলেন। ঘটনা আগের দিন সন্ধ্যায় এসেছিল ভিক্টিমের বাসায়। ভিকটিমকে তারা মামানি বলে ডাকতেন। তারা পূর্ব পরিচিত ছিল।
বিভিন্ন মোটিভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চুরি ডাকাতের উদ্দেশে তারা বাসায় গিয়েছিল কি না বা পূর্ব শত্রুতা ছিল কি না এসব বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি। তিন তালার ভাড়াটিয়া শিপন টাইলস মিস্ত্রি ঠিক করে দিয়েছিলেন মায়াকে। কিন্তু ভিকটিম মায়া তাদের মিস্ত্রি না নিয়ে অন্য মিস্ত্রি ঠিক করেছিলেন। সব বিষয়ে আমরা খুতিয়ে দেখছি। আসামিরা কিছু কথা বলেছে তা সত্য কি না আমরা যাচাই-বাছাই করছি। আসামিরা কথা বললেও সব যে সত্য বলে তা কিন্তু নয়। তারা (আসামিরা) কিছু একটা বলেছে আমরা শুনেছি। তারা কি উদ্দেশে গিয়েছে আমরা এখনই বলব না। তারা খুনের কথা স্বীকার করেছে। খুনে ব্যবহৃত চাকু ও রক্তমাখা জ্যাকেট আমরা উদ্ধার করেছি।
ধর্ষণের ঘটনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিকটিম যেহেতু নারী, একজন মহিলা পুলিশ অফিসার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সুরতহাল দেখেছেন। এই বিষয়ে কিছু যদি থাকে মেডিকেল রিপোর্টে আসবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে জসীম উদ্দীন বলেন, আসামি ধরা পড়েছে, এখনো আমরা এ বিষয়ে বলতে চাচ্ছি না। আসামিদের তিনটি মোটিভ হতে পারে। ধর্ষণ, ভিক্টিমের ভাড়াটিয়া জানতেন তার স্বামী বিদেশ থেকে টাকা পাঠায় এটা হতে পারে এ ছাড়াও আরেকটা মোটিভ হতে পারে টাইলস মিস্ত্রি ঠিক করে দেওয়ার পরও অন্য মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করান ভিকটিম মায়া। অন্য মিস্ত্রিরা কেমন কাজ করেছে দেখার কথা বলে আসামিরা মায়ার বাসায় প্রবেশ করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এই হত্যাকাণ্ড আসামী দুজনই করেছেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার (মিরপুর বিভাগ) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা বলেন, ভিকটিমের বাসার চালের বস্তায় টাকা ছিল। টাকা আসামিরা খুঁজে পাইনি। চারিত্রিক কোনো অসৎ উদ্দেশে তারা বাসায় তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।
কেএম/এমএমএ/