‘বুক পেতেছি ভবন গড়’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
‘বুকের ভেতর দারুণ ঝড়, বুক পেতেছি ভবন গড়’, ‘সেইভ দ্যা আলিয়া’ সহ বিভিন্ন ধরণের প্ল্যাকার্ড ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি- ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এবং অবৈধ ভবন নির্মাণের জন্য তাদের হল ছাড়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার নিজস্ব জায়গায় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণে শিক্ষার্থীরা বাধা দেওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমন ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বকশিবাজারে কাশগরী হলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অনাবাসিক ও আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ৪ দফা দাবি জানানো হয়েছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন খেলার মাঠে নির্মাণ করতে হবে। ছাত্রদের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে, গত মঙ্গলবার ছাত্রদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়া এবং হল খোলা রাখতে হবে।
শিক্ষার্থী জুবায়ের অভিযোগ করেন, প্রায় চার একর জমি নিয়ে নির্মিত সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার আবাসিক হল এবং ক্যাম্পাসের নামে মাত্র দু'টি ভবন ছাড়া সব মাঠ এবং ভূমি ইতোমধ্যেই বেদখল হয়ে গেছে। সর্বশেষ হলের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে অবস্থিত প্রধান হল সুপার এবং সহকারী হল সুপারের বাসভবন ভেঙে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে এ মাদ্রাসায় প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। অথচ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মাত্র জরাজীর্ণ আবাসিক হল রয়েছে, যা হলে থাকা ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য যথেষ্ট নয়। এছাড়া শরীরচর্চা কেন্দ্র, আধুনিক পাঠাগার, ছাত্রসংসদ কক্ষ, শিক্ষার্থীদের পাঠকক্ষ পর্যন্ত নেই। এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় নিজ ক্যাম্পাসের উন্নয়ন না করে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করার ঘটনা অযৌক্তিক।
এর আগে, বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকালে ক্যাম্পাসে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, অধ্যক্ষ-শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করা, ক্যাম্পাসে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। পরে ওইদিন বিকাল ৪টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এনএইচ/এএস