ধানমন্ডি লেকে গণপূর্ত কর্মচারীদের অবৈধ ভবন উচ্ছেদ
ধানমন্ডি লেকের ওয়াকওয়ে (হাঁটার পথ) দখল করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অনুমোদনহীন ও অবৈধভাবে নির্মিত একটি আধা-পাকা ভবন উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপী অভিযানে আধা-পাকা এই ভবনের ৩৫টি কক্ষ উচ্ছেদ করা হয়।
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা নাজনীন, সম্পত্তি বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান ও আবদুস সামাদের নেতৃত্বে অবৈধ ও অনুমোদনহীন এই অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদকালে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে এই আধা-পাকা ভবনের প্রায় সকল কক্ষে (পঁয়ত্রিশটি) অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেখতে পাওয়া যায়।
অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ‘ধানমন্ডি লেক ঘিরে জনগণের হাঁটার পথ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আমরা অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে লেকের জায়গা দখল করে নির্মিত সকল স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করি। সে সময় গণপূর্ত অধিদপ্তরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অনুমোদনহীন ও অবৈধ ভবনে বসবাসরত বাসিন্দারা ১৫ দিন সময় প্রার্থনা করেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সেখানকার বাসিন্দাদের প্রায় সকলে ইতিমধ্যে সেখান থেকে সরে গেলেও তাদের বিদ্যমান অবৈধ অবকাঠামো থেকে যায়। ফলে, ওয়াকওয়ে সৃষ্টির কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এমতাবস্থায় আজকে অভিযান চালিয়ে আমরা সেই অবৈধ অনুমোদনহীন অবকাঠামো উচ্ছেদ করেছি।’
ধানমন্ডি লেকে হাঁটার পথ প্রতিষ্ঠা ও লেকের সৌন্দর্যবর্ধনে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর আগে লেকের জায়গা দখল করে নির্মিত অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের এক তলা থেকে শুরু করে বহুতল ভবনের অবৈধ বর্ধিতাংশ ভেঙে ফেলা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরইউ/এসআইএইচ