কূটনৈতিক এলাকাসহ রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার
গুলশান কূটনৈতিক এলাকাসহ রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক দল বিজেপির কতিপয় নেতার আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে গত কিছুদিন ধরেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিবাদ মিছিল করে আসছে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন।
বৃহস্পতিবারও (১৬ জুন) একটি সংগঠন মিছিল নিয়ে গুলশান অভিমুখে ভারতীয় দূতাবাসের উদ্দেশে যাত্রা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের রাজধানীর শান্তিনগর মোড়েই আটকে দেয় পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতার মন্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এসময় আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনে যেতে চাইলে শান্তিনগর মোড়ে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এ ঘটনার পর গুলশানসহ রাজধানী জুড়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
অবশ্য পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. কামরুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, শুধু রাজধানী নয়, প্রায় সারা দেশে নাশকতা বা জঙ্গি হামলা রোধে পুলিশকে বিশেষ সর্তকাবস্থায় রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। এসব অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত নাকি দুর্ঘটনা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খতিয়ে দেখছে। এ ছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে কিংবা এর আগে পরে যেকোনো ধরনের সহিংস ঘটনা, জঙ্গি হামলা রোধে রাজধানীসহ সারাদেশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে বিশেষ নজর রোখছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, যেকোনো হামলা মোকাবিলায় পুলিশের বিশেষ ইউনিটকেও সতর্ক থাকতে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
গুলশানের কুটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান বিভাগের (গোয়েন্দা) উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, গুলশানের বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় সময় আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। তিনি বলেন, মিডিয়া কর্মী বারী হত্যা এবং সব কিছু বিবেচনা করে শুধু গুলশান নয় সারা ঢাকাতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কেএম/এনএইচবি/এসএন