সেমিনারে ভোক্তা অধিকার ডিজি
'বাজার কমিটির গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ তেল উদ্ধার'
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, 'বাজার স্বাভাবিক রাখতে সমিতির লোকদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু সুফল পাওয়া যায় না। কারণ বাজার কমিটির লোকদের গোডাউনে লাখ লাখ লিটার তেল উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু চাইলে তারা নিজেরা বাজার ঠিক করতে পারেন। তাহলে ভোক্তা অধিকারকে সেখানে না গেলেও চলে। সোমবার (১৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডিআরইউ সদস্যদের অংশগ্রহণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অথিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, ভোক্তা অধিকারের নাম দিয়ে একটি চক্র মানুষকে হয়রানি করছে। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা জানতে পেরেছি ভোক্তা অধিকারের কাছাকাছি নাম ব্যবহার করে একটি চক্র নোটিশ দিয়ে চাঁদা নিচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সবাইকে সতর্ক করছি। আপনারাও (সাংবাকিদকরা) সতর্ক করতে সহযোগিতা করবেন 'চালের বাজার নিয়ে তিনি বলেন, চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। কিন্তু দাম বেড়েছে এটা ঠিক। আমরা অভিযান শুরু করেছি। ব্যবসায়ীরা কেউ কেউ বলছেনও ভোক্তা অধিকার চালের ঘ্রাণ নিয়ে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করছে'।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বাজার কারসাজি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা যখন ১৬০ টাকা তেলের লিটার বেঁধে দেয়ার পর সেটা মূল্য ঠিক জায়গায় আনতে ১৫দিন সময় লেগেছে। আমরা আসলে খেয়াল করেছি যখন দাম বাড়ে তখন একদিন পরই বাড়তি দাম নেয়া হয়। কিন্তু যখন দাম কমে তখন আর ব্যবসায়ীদের স্টক ফুরায় না। রমজানের ঈদের পর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে একে অন্যকে ব্লেম গেম দেয়া শুরু করে। পরে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। নিজেরা যোগসাজশ করে বাজারে সংকট তৈরি করেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, 'পুরোপুরি চাপমুক্তভাবে কাজ করছি। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি, সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে। কিন্তু কোনো মহল থেকে আমি চাপের মুখে পড়িনি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সংশোধনের কাজ চলছে। ২১৭ জন জনবল দিয়ে সব ভোক্তার জন্য কাজ করা অসম্ভব। তাই প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে সবার আগে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে'।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অনেক বড় করপোরেট হাসপাতাল তারা সার্ভিস চার্জসহ নানা নাম করে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। শিগগিরই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আমরা আরও কাজ করবো। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব। উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, আফরোজা রহমান, সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।
জেডএ/এএজেড