মশক নিধনে অবহেলার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা: ডিএনসিসি মেয়র
কিউলেক্স মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রূপনগর এলাকায় কিউলেক্স মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত (শুক্রবার ও শনিবার ব্যতীত) মোট ৬ দিনব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘হই যদি আমরা সচেতন, মশামুক্ত হবে উত্তর সিটি করপোরেশন। কারণ, কারও একার পক্ষেই মশা দূর করা সম্ভব নয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে মশার বংশবিস্তার রোধ করতে হবে।’
ক্ষমতাকে ভোগ করার জন্য নয়, নগরপিতা হিসেবেও নয়, নগরবাসীর সেবক হিসেবেই কাজ করে যেতে চা এমন মনোভাবের কথা জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তাই স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলরের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, রাজউক অনুমোদিত নকশা মোতাবেক নির্ধারিত জায়গাতেই কমিউনিটি সেন্টার, পার্ক ও খেলার মাঠ করা হবে, এর কোনো ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না। অপরিকল্পিত ঢাকাকে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে মুক্ত করে সবার বাসযোগ্য একটি সুস্থ্য, সচল ও আধুনিক নগরীতে রূপান্তরিত করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে চিহ্নিত কিউলেক্স মশার ৯২৫টি হটস্পটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই ডিএনসিসি বহিৰ্ভূত রাজউক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের আওতাভূক্ত। তাই সরকারী, বেসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত কিংবা ব্যক্তিগত সকলকেই মশক নিধনে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় কাউন্সিলর মো. তফাজ্জল হোসেন টেনু উপস্থিত ছিলেন।
আরইউ/এমএমএ/