চাঁদপুরে উজ্জ্বল মিয়াজি হত্যার ৭ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় নৌ ডাকাত কবির খালাশি, জজ মিয়া খালাশি ও নাহিদ খালাশিসহ সকল আসামি গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় নিহত মোবাইল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজির বড় ভাই গোলাম মিয়াজিসহ তার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বড় ভাই গোলাম মিয়াজি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৪ মে বৃহস্পতিবার রাতে একটি ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজ শশুরবাড়ি এলাকা চাদপুরের মতলবে যান ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজি।
একই রাতে মতলব উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে অনুষ্ঠান স্থল পরিদর্শনে গেলে সেখানে হঠাৎ করে এসে ফাকা গুলি ছোড়ে স্থানীয় নৌ ডাকাত কবির খালাশি। পরে ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজির সাথে থাকা লোকজন পালিয়ে গেলে উজ্জলের পায়ে গুলি করে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে কবির খালাশি, জজ মিয়া খালাশি, নাহিদ খালাশি তুশার খালাশি ও বাবলা ডাকাতসহ আরো ২০ থেকে ২৫ জন দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের পরদিন আমি নিজে বাদী হয়ে চাদপুরের মতলব উত্তর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। তবে হত্যাকান্ডের ৭ দিনেও এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরা সুষ্ঠ বিচার নিয়ে আশংকায় রয়েছি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কবির খালাসী চক্র এলাকার নৌ ডাকাত হিসেবে পরিচিত। তারা খুন খারাবি, দখলবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। এই চক্রের কতিয় সদস্য আমার ভাইকে ডাকাত বলে অপপ্রচার করছে। অথচ আমার ভাই ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইল ব্যবসা করত। আমার ভাই এলাকায়য় ঈদগাহ মাঠের জন্য ওয়াকফাহ স্টেটকে জায়গা দিয়েছে। এ ছাড়া সে যুব কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিল।’
এ সময় মামলার প্রধান আসামি কবির খালাশিসহ মামলার সকল আসামিকে গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নিহত ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজির বড় ভাই গোলাম মিয়াজি।
এএইচ/এমএমএ/
