স্বরূপে ঢাকা

স্বরূপে ফিরেছে রাজধানী ঢাকা। চিরচেনা যানজট, হর্ণের তীব্র শব্দ, লেন ছাড়া গাড়ির এলোমেলো চলাচল, যত্রতত্র যাত্রীবাহী বাসের দাঁড়িয়ে পড়া, যাত্রী উঠানামা করা-সবই ফিরে এসেছে এ মহানগরে। নগর থেকে গ্রামে যাওয়া মোটরসাইকেলও ফিরে এসেছে। সব মিলিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে মেগাসিটি।
গত ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ঈদের লম্বা ছুটি। করোনার কারণে দুই বছর নগরে ঘরবন্দী মানুষ এবার বকু ভরা শ্বাস নিতে ছুটে গিয়েছিলেন গ্রামে। স্বজনের কাছে। তাই রাজধানী ঢাকা বলতে গেলে একেবারেই ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল।
ঈদের ছুটিতে গত শনিবার (৭ মে) পর্যন্ত নগরী ছিল রীতিমত কোলাহল মুক্ত। ছিল না হর্ণের শব্দ। গাড়ির কালো ধোঁয়া। যানজটও ছিলনা গত কয়েকদিন। রাস্তাঘাট ছিল একেবারেই ফাঁকা।
ঈদের ছুটি কাটিয়ে গত শুক্রবার (৬ মে) থেকেই নগরীতে হয়েছি শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। ফলে ধীরে ধীরে নগরী তার ‘ভরা যৌবন’ ফিরে পেতে শুরু করেছে।
রবিবার (৮ মে) সকাল থেকেই চেনা রূপে দেখা যায় রাজধানী ঢাকাকে। মিরপুর সড়ক, বেগম রোকেয়া সরণি, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, মগবাজার, মতিঝিল, পল্টন,মগবাজার, মৌচাক, প্রগতী সরণি, বিমানবন্দর সড়কসহ নগরীর অধিকাংশ সড়কে হালকা যানজট দেখা গেছে। দুপুরের দিকে কিছু কিছু সড়ক কিছুটা ফাঁকা থাকলেও বিকাল গড়াতেই সড়কগুলোতে চিরচেনা যানজট দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার হয়ে বাংলামটর পর্যন্ত এবং মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ হয়ে বাংলামটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয়সরণি, শাহবাগ থেকে কাঁটাবন হয়ে এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরী মোড়, মিরপুর সড়ক, সাত মসজিদ রোড, সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে পান্থপথ হয়ে ৩২ নম্বর কলাবাগান মোড় পর্যন্ত সর্বত্র যানজট ছিল চোখে পড়ার মত। যদিও এসব যানজটে যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে না থাকলেও অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেকক্ষণ।
গতকালও রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে গণপরিবহন অপেক্ষাকৃত কম ছিল। ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি ছিল বেশ। সঙ্গে যথারীতি মোটরসাইকেল ছিল প্রায় সকল সড়কে। ফুটপাতগুলোও ধীরে ধীরে পূর্বের অবস্থায় অর্থাৎ হাকারদের দখলে চলে যাচ্ছে।
আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে রাজধানীতে যানজট আগের রূপে ফিরে যাবে এমনটাই আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এখনো যারা ফেরেননি তারাও ছুটি কাটিয়ে দুই-এক দিনের মধ্যেই রাজধানীতে ফিরবেন। তারপর যথারীতি মেগাসিটি শতভাগ ফিরে যাবে তার আগের চেহারায়।
এনএইচবি/এমএমএ/
