চিড়িয়াখানায় ঈদের দ্বিতীয় দিনে লাখো দর্শনার্থী

ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে জাতীয় চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লক্ষাধিক দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানা ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান।
বুধবার (৪ মে) সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় অবস্থান করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
চিড়িয়াখানার প্রধান গেটসহ আশপাশের রাস্তায় শুধু দর্শনার্থীদের আনাগোনা। চতুর্দিকে রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থী, কোথাও এক মিনিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার অবস্থা নেই। অনেকে ভিড়ের কারণে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে না পেরে বাড়িতে ফিরে গেছেন। আবার কেউ কেউ অসহনীয় কষ্ট অপেক্ষা করে ভেতরে প্রবেশ করে চিড়িয়াখানার বিভিন্ন প্রাণী দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
ফুলবাড়িয়া থেকে সকালে পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানায় দেখতে হাসেন রহমত উল্লাহ। চিড়িয়াখানার গেটের সামনে দাঁড়িয়েই তার সঙ্গে কখা হয় ঢাকাপ্রকাশ-এর।
তিনি বলেন, ‘আমি দুই ঘণ্টা যাবৎ চেষ্টা করছি টিকিট কাটার জন্য কিন্তু কাছে যেতে পারছি না। ছোট বাচ্চা ও কান্নাকাটি করছে। তাই এখন চিন্তা করছি চিড়িয়াখানায় ঢুকব না বাসায় ফিরে যাব।
শুধু রহমত না এ রকম হাজার হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। আর যারা ভিড় ঠেলে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন তারা টিকিট সংগ্রহ করে পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানার ভেতরে ঢুকে বাঘ ভাল্লুকসহ নানা প্রাণী দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
এ রকম একজন দর্শনার্থী ফারিয়া রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমরা সকাল ১১টায় ভেতরে ঢুকেছিলাম তখন এতটা ভিড় ছিল না ভতরে ঢুকে এখন দেখি শুধু মানুষ আর মানুষ। এখনো যেভাবে মানুষের স্রোত আসছে তাতে বেশিক্ষণ এখানে থাকা যাবে না। আমি আমার বাচ্চাকে সবগুলো খাঁচা ঘুরে সবকিছু দেখেছি খুব ভালো লাগছে।
জাতীয় চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার ঈদের ৩৫ হাজারের মতো দর্শনার্থী ঢুকেছিল। আজ সকালের পর থেকে এত দর্শণার্থী আসছে যে আমাদের ট্যাকেল দেওয়া খুব কষ্ট হচ্ছিল। পরে ফোন করে অতিরিক্ত ফোর্স আনতে হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত লক্ষাধিক দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে। বিকাল পর্যন্ত তাতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক এ পৌঁছাবে বলে আমরা মনে করছি। এই ভিড় আগামী শুক্রবার পর্যন্ত থাকবে বলে মনে হচ্ছে। তবে মানুষ এত ভিড় হলেও আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারছি বলে দাবি করতে পারছি। কারণ এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
এদিকে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে অনেকের বাচ্চা হারিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। চিড়িয়াখানার ভিতরে প্রচার মাইকিং বারবার তাদের নাম প্রচার করা হচ্ছে। তাই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সকলকে সতর্ক করেছেন যার যার বাচ্চা তার সঙ্গে রাখার জন্য।
এসএম/এমএমএ/
