ডিপ্লোমেটিক জোনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোনকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) রাত থেকেই এইসব এলাকায় জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। ডিপ্লোমেটিক জোনে প্রবেশের সবগুলো মুখে অতিরিক্ত পুলিশ তাদের দায়িত্বপালন শুরু করেছে। পাশাপাশি প্রবেশমুখে গাড়িতে তল্লাশি করা হচ্ছে।
গুলশান এলাকায় একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেছেন, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেওয়া তাদের দায়িত্ব। প্রায়ই ঈদের সময় বড় বড় ঘটনা ঘটে এ জন্য তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার (২ মে) গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঈদে ডিপ্লোমেটিক জোনে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ঈদে এই এলাকার জন্য যে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ রয়েছে সেই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ও এপিবিএন কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি দূতাবাসে গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়ে এসেছি।
আমিনুল বলেন, ঈদকে ঘিরে এই এলাকায় যেন কোন প্রকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির মত কোন ঘটনা না ঘটে সে জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।
তিনি আরও বলেন, ঈদের সময় অনেক আতশবাজি পোড়ানো হয়, রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো হয়। সে কারণে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এগুলো যেন না হয় তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের একটি সূত্র জানায়, রাজধানীর বারিধারা, গুলশান-২ এলাকায় বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ দূতাবাস রয়েছে। সে কারণে ঈদের আনন্দে এই এলাকায় যেন কোন প্রকার উশৃঙ্খলা কিংবা ওভার স্পিডিং ড্রাইভ না হয় সেই বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখেই শুক্রবার রাত থেকেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, এই সকল এলাকায় প্রবেশ মুখ গুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। থানা পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন সদস্যরাও সেখানে কাজ করছে।
এছাড়াও নিয়মিত টহলও বাড়ানো হয়েছে। রাস্তায় যেন কোন প্রকার উশৃঙ্খলতা না হয় সে জন্য টহল দূতাবাস এলাকার ভেতরের সড়কেরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সরেজিমনে গুলশান-২ এলাকার বিভিন্ন দূতাবাসের সামনে দেখা গেছে অতিরিক্ত পুলিশ। পাকিস্থান, সৌদি, কানাডা, আমেরিকা, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দূতাবাসের সামনে দেখা গেছে অতিরিক্ত পুলিশের পাহারা। এছাড়া, নতুনবাজার দিয়ে গুলশান-২ এ প্রবেশমুখেও দেখা যায় অতিরিক্ত পুলিশ।
কেএম/এএস
