ঢাকা এখন ফাঁকা

ফাঁকা হয়ে গেছে রাজধানী ঢাকা। রাস্তায় জ্যাম নেই। গাড়ির দীর্ঘ জট নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না যানজটে। কমে এসেছে হর্নের শব্দও। সবমিলিয়ে চিরচেনা চেহারার বদলে রাজধানী এখন অন্য এক রূপ নিয়েছে।
করোনা মহামারির জন্য দুই বছর মানুষ ছিলেন অনেকটা ঘরবন্দি। লকডাউন, বিধিনিষেধ আর নানা অনিশ্চয়তার দোলাচলে দেশের মানুষ গত দুই বছরে চারটি ঈদ কাটিয়েছেন অসুস্থতা, মৃত্যুভয় আর নানান সংকটে।
করোনার প্রকোপ প্রায় কমে আসায় এবারের ঈদ তাই অন্যরকম এক আনন্দ নিয়ে এসেছে দেশবাসীর মাঝে। দুই বছরের দীর্ঘ বিরতির পর এবার ঈদ উদযাপন করতে নগরবাসী দলবেঁধে ছুটেছেন গ্রামে, স্বজনের কাছে। পরিবার-পরিজনের কাছে। ঈদকে সামনে রেখে পাঁচ দিন আগেই ফাঁকা হতে শুরু করে ঢাকা।
রবিবার (১ মে) রাজধানীর বনানী, বিজয়সরণি, মিরপুর সড়ক, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, মানিক মিয়া এভিনিউসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর প্রায় প্রতিটি সড়ক একেবারেই ফাঁকা হয়ে গেছে। যানবাহনের কোনো চাপ নেই। মহুর্তের মধ্যেই গাড়ি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটে যাচ্ছে।
ঈদের ছুটিতে গত কয়েক দিনে রাজধানীতে চলাচলকারী হাজার হাজার মোটর সাইকেল রাজধানী থেকে বের হয়ে যাওয়ায় নগরীর সড়কগুলো মোটরসাইকেল শূন্য হয়ে গেছে।
অন্য দশটা দিনের মত রাজধানীর রাস্তাঘাটে মানুষের কোনো চাপ নেই। গত চার দিনে বেশিরভাগ মানুষ ঢাকা ছেড়ে যাওয়ায় নগরীতে চাপ কমে গেছে। এখনো বহু মানুষ গ্রামের পথে ছুটছেন।
রাজধানীর গাবতলী, মহাখালি ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীর চাপ কমে গেছে। তবে এখনো বহু মানুষ যাচ্ছেন গ্রামের পথে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও মানুষের ভিড় ছিল আজও। ট্রেনগুলো শিডিউল বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছে।
এদিকে রাজধানীর অন্যান্য সড়কের তুলনায় মিরপুর সড়কে অপেক্ষাকৃত বেশি সংখ্যক যানবাহন দেখা গেছে। নিউ মার্কেটসহ মিরপুর সড়কের মার্কেটগুলো খোলা থাকায় এই সড়কের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। তবে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের তেমন চাপ নেই।
একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ এর। এই সড়কের বিজয়সরণি মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো রকম জটলা নেই। ছোট-বড় যানবাহন ছুটে চলছে তীব্র বেগে।
ঈদের ছুটির কারণে আগামী কয়েকদিন নগরীর চিত্র এমনই থাকবে। নগরবাসী যারা ঈদে এই শহরেই থাকছেন তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। কারণ আগামী কয়েকটা দিন নগরীতে থাকবে না বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণের অত্যাচার।
এনএইচবি/এমএমএ/
