ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের ঢাকা ছাড়ার হিড়িক

পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে সাধারণ মানুষের ঢাকা ছাড়ার হিড়িক লক্ষ্য করা গেছে। এজন্য রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল এলাকা ছিল ঘরমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ঘুরে এসব চিত্র ছিল চোখে পড়ার মতো। গতকাল সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালগুলোতে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। দেখে মনে হয় ঈদের আগের শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় চলছে।
কারওরান বাজার এলাকায় কথা হয় সেলুনের কর্মচারী রহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের ঢাকা ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। আমিও আজ রাতেই বাড়ি যাচ্ছি।
ঈদের তো কয়েকদিন বাকি রয়েছে, এতো আগে কেন যাবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে গেলে ভালো হয়। রাস্তায় যানজট কম থাকে। এ ছাড়া দিনে প্রচুর গরম থাকে। রোজা থেকে কষ্ট হবে এজন্য রাতে আগেই চলে যাব।
গাবতলী টার্মিনালে কথা হয় সৈয়দ মুন্সির সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেক মানুষ আজ ঢাকা ছেড়েছে। আমি গাবতলীতে দেখলাম লোকাল বাসে সাধারণ মানুষ ছিড়ে কেটে গ্রামের বাড়ির উদ্দ্যেশে যাচ্ছেন।
সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে কথা হয় বরিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করি। ঈদের আগে রাস্তায় অনেক যানজট হয়, এজন্য আগেই চলে যাচ্ছি।
মালিবাগে হানিফ পরিবহনের যাত্রী সরকারি চাকুরিজীবী গনি মিয়া বলেন, আজ সরকারিভাবে আমাদের অফিস ছুটি হয়েছে। ছেলে মেয়েরা গ্রামের বাড়িতে যেতে পাগল হয়ে গেছে, এজন্য আজই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে চলে যাচ্ছি।
সাধারণ মানুষ ঘরমুখো হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমরা ঘরমুখো ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্থানে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। যাতে অজ্ঞান ও মলম পার্টির দ্বারা কোনো যাত্রী বা চলাচলরত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেই দিক বিবেচনা করে ঢাকাতে নিরাপত্তা বলয় রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে অজ্ঞান ও মলম পার্টির অনেক সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান চলমান আছে। যার কারণে এসব অপরাধীরা এবার ঈদের মধ্যে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কেএম/টিটি
