তেঁতুলতলা মাঠে কাজ বন্ধের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বললেন পরিবেশকর্মীরা

স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পরিবেশকর্মী ও নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্পষ্ট বলেছি যে, এখানে যে কাজটা হচ্ছে আমরা চাচ্ছি সেটা বন্ধ করা হোক। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, উনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। আলোচনা করে উনি চেষ্টা করবেন। যেহেতু কিছু টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, বিকল্প জায়গা উনারা খুঁজবেন। আমাদেরও বলেছেন সহায়তা করতে। মনে হয় সবাই মিলে একসঙ্গে একটা বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করা দরকার। এ আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা উনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করতে চাচ্ছি যেন এখানে থানা না হয়, এটা থানা হওয়ার উপযোগী নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এটা ফয়সালা করবেন।
খুশী কবির বলেন, আমারদের বক্তব্য হলো আপনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন, বিকল্প জায়গা খুঁজবেন সবই করবেন। কিন্তু এরমধ্যে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হবে। এ কথার জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের বলেছেন কমিশনারের সঙ্গে আলাপ করবেন। আমরা জোর দিয়ে বলে এসেছি। এটা দ্রুত বন্ধ হোক, এটা খুবই বিরূপ একটা অবস্থা সৃষ্টি হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটা হলো খেলার মাঠটার ব্যাপারে উনি নিজে অনুভব করছেন। কিন্তু উনারা ২৭ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন। তখন আমরা বলেছি, এটা তো সরকারের ট্রেজারিতেই আছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় আরও অনেক পরিত্যক্ত জায়গা আছে, একটা জায়গার কথা ইকবাল ভাই স্পষ্ট করে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, দেয়ালের নির্মাণকাজ বন্ধ করেন। কারণ এলাকাবাসী চরম অস্বস্তিতে আছে। পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসী মুখোমুখি হোক এটা আমরা কেউই চাই না। আমরা চাই সবার জন্য একটা উইন উইন সিচুয়েশন হোক। দেয়াল নির্মাণ হলে এখানে ঈদের জামায়াতটা হতে পারবে না। কাজেই দেয়াল নির্মাণটা অবিলম্বে বন্ধের কথা বলেছি।
রিজওয়ানা বলেন, জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে আমি এখনই ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলছি। আর এটার বিকল্প অন্য কোথাও যাওয়ার বিষয়ে আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। যেহেতু আমরা টাকা দিয়ে দিয়েছি। তখন আমরা বলেছি, আমরা সবাই সই করে আপনাকে একটা চিঠি পৌঁছে দেব প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার জন্য। আপনি আমাদের হয়ে ওই চিঠি দয়া করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেবেন। উনি বলেছেন, আমি নিশ্চয়ই দেব। আমরা সেই চিঠি আগামীকাল পৌঁছে দেব।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, উনি নিজেও বলেছেন জায়গার যেমন অভাব আছে এটা সত্য, তেমনি বাচ্চাদের বিষয়টা আমরাও ফিল করি। আমরা উনাকে বলেছিলাম, আপনার সঙ্গে বৈঠকের পর আমরা বাচ্চাদের গিয়ে কী বলব। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। বিকল্প জায়গার কথা বলবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বলেছি যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করুক যাতে কাজটা আর না হয়।
তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত একটা প্রতিনিধি দল বুধবার (২৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন খুশী কবির, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থপতি ইকবাল হাবিব ও উদীচীর যুগ্ম সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম।
এনএইচবি/এসএন/
