তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও সাইনবোর্ড স্থাপন কর্মসূচি ঘোষণা

রাজধানীর তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষায় মাঠের সীমানায় বৃক্ষরোপণ ও সাইনবোর্ড স্থাপন করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনকারী বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিকবৃন্দের যৌথ উদ্যোগে বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
মঙ্গলবার রাতে এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূর। এই কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষকে অংশগ্রহণ করার জন্য আহবান জানানো হয়েছে।
রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ সাধারণ মানুষের খেলাধুলা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঈদের জামাত, জানাজার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। সম্প্রতি কলাবাগান থানা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হলে এলাকার মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। ২৪ এপ্রিল থানা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হলে প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা রত্না ও তার কিশোরপুত্রকে থানা আটক করে নিয়ে যায়। প্রতিবাদের মুখে ১৩ ঘণ্টা পর আন্দোলন না করার মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
এরপর থেকে মাঠ রক্ষার আন্দোলন চলছে। বিকল্প মাঠ না দিলে থানা ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে ১২টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), নিজেরা করি, এএলআরডি, আইন সালিশ কেন্দ্র (আসক), ব্লাস্ট, নাগরিক উদ্যোগ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নারীপক্ষ, গ্রীন ভয়েজ হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি ও টিআইবি।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, রাজধানীর কলাবাগানে ‘তেঁতুলতলা খেলার মাঠে’ নয়, জনস্বার্থে সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ পাওয়া জমিতেই নির্মাণ করা হচ্ছে কলাবাগান থানা। ডিএমপি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না। জনস্বার্থে কলাবাগান থানার জন্য ধানমন্ডি মৌজার ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন ২০১৭-এর সব বিধি-বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। কলাবাগান থানার জন্য অধিগ্রহণকৃত ০.২০ একর জমি জরিপ অনুযায়ী সরকারি সম্পত্তি এবং সরকারের পক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন।
এপি/
