তালিকাভুক্ত ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ লেদু হাসান গ্রেপ্তার
তালিকাভুক্ত ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মো. মনোয়ার হাসান জীবন ওরফে লেদু হাসানকে বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ২৮টি মামলা রয়েছে। লেদু হাসান মোহাম্মাদপুর এলাকার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।
রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, লেদু হাসান লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৃত হারিছ চৌধুরী একজন কৃষক ছিলেন। লেদু হাসান ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯০ সালে তিনি লক্ষীপুর জেলা থেকে তার বাবার সঙ্গে ঢাকায় আসেন। তিনি ২০১০ সালে বহুল আলোচিত ওহিউদুজ্জামান হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় আসামি হিসেবে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি কারাগারে ছিলেন।
পরবর্তী সময়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লেদু হাসান আরও বেপরোয়া হয়ে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত হন। এর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর, আদাবর থানাসহ বিভিন্ন থানাতে খুন, বিস্ফোরকসহ ২৮টি মামলা রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, লেদু অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। সাধারণ মানুষের সম্পত্তি দখল, জমি দখল, চাঁদাবাজি, চাঁদার জন্য হুমকি দেওয়া, মাদক ব্যবসা, জুয়ার কারবার প্রভৃতি অপরাধের সঙ্গে তিনি জড়িত।
এলাকায় নতুন কোনো ভবনের কাজ শুরু হলে তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দিতে হতো। অন্যথায় তিনি তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দিতেন। জীবন মূলত অস্ত্রধারী হওয়ায় এবং প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ জনগণ তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে সাহস করতেন না এবং কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করলে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখাত ও মারপিট করে গুরুতর জখম হতে হতো।
র্যাবের দাবি–লেদু হাসান ২০১৭ সালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে এস আর পলাশকে হত্যা করেন। আদাবর থানায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা চলমান রয়েছে। একটি অস্ত্র মামলায় তার ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তিনি মোহাম্মদপুর বেড়িবাধ এলাকায় একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে দুজন মহিলাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিলেন–যে মামলাটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।
এনএইচ/এসএ/