যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী
রাজধানীতে বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরার জসীমউদ্দিন-আজমপুর সড়ক অবরোধ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ঈদের আগে বকেয়া বেতন ও বোনাস না পেয়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
একদিকে শ্রমিকদের আন্দোলন, অন্যদিকে ভিআইপি প্রটোকল–সব মিলিয়ে যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। রাজধানীতে চলাচল রত একাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে শ্রমিকরা এ অবরোধ করেন।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরের দিকে মিরপুর ১১ নম্বর সড়কে অবস্থান নেন কটন টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকরা। আর দুপুর বারোটার পর উত্তরায় অবস্থান নেন ইন্ট্রাকো ডিজাইন লিমিটেড এবং ইন্ট্রাকো ফ্যাশন লিমিটেড নামে দুইটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। উত্তরার দুটি গার্মেন্টসের মালিক একই ব্যক্তি।
এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে মিরপুর ১০ এবং এর আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে বিমানবন্দর-উত্তরা সড়কেও নড়ছে না যানবাহন। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
মিরপুরের আন্দো শ্রমিকরা জানান, এ গার্মেন্টসে প্রায় ৩০০ শ্রমিক কাজ করেন। তাদের কেউই চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বেতন পাননি। সব বকেয়া ও ঈদ বোনাস ২০ এপ্রিল দেওয়ার কথা ছিল। তবে মালিকপক্ষ টাকা দেয়নি। গার্মেন্টস মালিকও কারখানায় আসছেন না ২ সপ্তাহ ধরে। এ অবস্থায় রাস্তায় নামা ছাড়া তাদের কোনো উপায় ছিল না।
কটন টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিক বোরহান উদ্দিন বলেন, গত ২৩ এপ্রিল একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছিল পুলিশ। তবে দুই দিন ধরে তারা আর যোগাযোগ করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এসি) বলেন, ‘শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে রাস্তায় অনেক যানজট তৈরি হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে ভিআইপি, অন্যদিকে শ্রমিকদের আন্দোলন–দুটো মিলিয়ে বেহাল অবস্থা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকরা আন্দোলন করছে, যার কারণে অত্র এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনরত স্থানে আমাদের থানা পুলিশ রয়েছে।’
কেএম/এসএ/
