২০ ঘণ্টা আগেই টিকিটের লাইনে রুহুল-রফিক-মিজান

রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ২টা। কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে তখনো বসে আছেন কয়েকশ মানুষ। অথচ টিকিট কিন্তু আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।
টিকিট তো সকাল ৮টায় দেওয়া শুরু হওয়ার পর সকাল ১০টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে তারপরও আপনারা বসে আছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে দিনাজপুরের টিকিটপ্রত্যাশী রুহুল আমিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বললেন, আজ তো ২৮ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হলো। আমরা বসে আছি ২৯ এপ্রিলের টিকিটের জন্য।
অর্থাৎ রুহুল আমিনের মতো শত শত মানুষ আসলে একদিন আগেই এসে বসে আছেন স্টেশনে। রুহুল আমিন বলেন, রবিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় তিনি স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। যাবেন দিনাজপুর। টিকিট দেওয়া হবে আগামীকাল সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল আটটায়। অর্থাৎ ২০ ঘণ্টা আগে টিকিট কাউন্টারে এসে বসে আছেন রুহুল আমিন।
বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম যাবেন বগুড়ার শান্তাহারে। রবিবার দুপুর একটায় তিনি লাইনে দাড়িয়েছেন। কিন্তিু টিকিট দেওয়া শুরু হবে পরদিন সোমবার সকাল ৮টা থেকে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের ১৯ ঘণ্টা আগে লাইনে দাঁড়িয়েছেন রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম জানালেন, অনলাইনে একধরনের কারসাজি করে রাখা হয়েছে। ঢোকাই যায় না। সকালে চেষ্টা করলাম। ঢোকা যায় না। তারপর যখন ওয়েবসাইট ঠিক হলো তখনই দেখি কোনো টিকিট নাই। এগুলো বোঝাই যায় কালোবাজারে টিকিট দেওয়ার জন্য ইচ্ছা করে এমনটা করা হয়।
একই কথা জানালেন পাবর্তীপুরের টিকিট প্রত্যাশী মিজানুর রহমান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট দেওয়ার কথা বলা হলেও বিষয়টি ঠিক নয়। পুরো টিকিট কারসাজি করে কালোবাজারে দেওয়া হয়। এ কারণেই মূল কাউন্টারের ৫০ শতাংশ টিকিটের জন্য হাহাকার। অনলাইনে কারসাজি না করলে একদিন আগে কাউন্টারে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না আমাদের।
আরইউ/এমএমএ/
