রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকেই তীব্র যানজট

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে আজ সকাল থেকেই তীব্র যানজট লেগে আছে। প্রতিদিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ঢাকার যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা।
যানজটের দুর্ভোগ রাজধানীবাসীর জন্য নতুন নয়। তবে, রমজানে এ দুর্ভোগের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তীব্র গরমে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রবিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র চোখে পড়ে।
নগরজুড়ে অসহনীয় রূপ ধারণ করেছে যানজট। সামান্য পথ অতিক্রম করতে সময় লাগছে কয়েক ঘণ্টা। মন্থরগতিতে চলা যানবাহনে বসে হাঁসফাঁস করছেন বিভিন্ন বয়সী যাত্রীরা।
সকালে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানজট।
অনেকেই বলছেন, প্রতি দিনই যানজট বাড়ছে কমছে না। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, মেট্রোরেল নির্মাণ, এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়েসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। এ ছাড়াও রাস্তায় ধীরগতির যানবাহন, উল্টোপথে গাড়ি চলাসহ নানা কারণে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।
এদিকে বিমানবন্দর সড়ক, ডিআইটি সড়ক, খিলগাঁও রেলগেট, বাসাবো, মানিকনগর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, ফকিরাপুল, পল্টন, শাহবাগ, কাকরাইল, বাংলামটর, কারওয়ানবাজার, বনানী, মহাখালী, মিরপুর, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে। প্রতিটি মোড় অতিক্রম করতে যানবাহনগুলোকে তিন থেকে চারটি সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই ট্রাফিক পুলিশকে দেখা গেছে হিমশিম খেতে।
উত্তরা থেকে শাহবাগে আসা রাফিউজ্জামান বলেন, ‘একেতো গরমে রোজা তারপর এতো যানজট, দিনের অনেকটা সময় রাস্তায় শেষ হচ্ছে। অফিস করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে একই যুদ্ধ করতে হচ্ছে। যানজটের সাথে যুদ্ধ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি।’
আজিমপুরে কথা হয় আবির নামের এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আজ রাস্তায় সেই যানজট।’ নিউ মার্কেট কথা হয় আবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় ভয়াবহ যানজট আর ভালো লাগে না।’
এদিকে যানজটের বিষয়ে একাধিক ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রতিদিনই রাস্তায় যানজট থাকে। সরকারিভাবে কিছু পদক্ষেপ না নিলে যানজট নিরসন করা সম্ভব না।
কেএম/এসএ/
