নিউমার্কেটে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপি নেতা মকবুল গ্রেপ্তার

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলার ১ নম্বর আসামি মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মকবুল হোসেন নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করেন ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ।
তিনি বলেন, শুক্রবার বিকালে মকবুল হোসেনকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুড নামে যে দুই দোকানের কর্মচারীদের দ্বন্দ্ব থেকে নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, সেই দোকান দুটি সিটি করপোরেশন থেকে মকবুলের নামে বরাদ্দ রয়েছে। তবে দুটি দোকানই মকবুল নিজে চালাতেন না। রফিকুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নামে দুজনকে ভাড়া দিয়েছেন দোকান দুটি। রফিকুল ও শহিদুল আবার পরস্পরের আত্মীয়।
সোমবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এরপর পুলিশ রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু পরদিন মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। যা সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী। এ ছাড়া উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়া নিহতের ঘটনায় বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে একটি হত্যা মামলা হয়। নিহত নাহিদের চাচা মো. সাইদ যে হত্যা মামলা করেছেন, তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া দোকান কর্মচারী মোরসালিন নিহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাতে আরেকটি হত্যা মামলা হয়। সে মামলাটির দায়িত্ব পেয়েছে ডিবি। এই মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে। দুই মামলাতে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরএ/
