ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, মোরসালিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত মো. মোরসালিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে মোরসালিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিকা খন্দকার।
তিনি বলেন, শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কারণে শরীরে ভেতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মোরসালিনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের ভাই নুর মোহাম্মদ জানান, মোরসালিনের মরদেহ কামরাঙ্গীরচর ঝাউলাহাটি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত দোকান কর্মচারী মো. মোরসালিন (২৪) বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মোরসালিন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাডাকান্দি গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর ঝাউলাহাটি চৌরাস্তা এলাকায় থাকতেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মোরসালিন দ্বিতীয় ছিলেন। এছাড়া মোরসালিনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রীর নাম মিতু আক্তার।
নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হালদার অর্পিত ঠাকুর জানান, মিরপুর রোডের নিউমার্কেটের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন মোরসালিন। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। আর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান নাহিদ হাসান নামে এক কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী। ঘটনার দিন মঙ্গলবার কামরাঙ্গীরচরে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন নাহিদ। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় তিনি অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করেছেন।
আরএ/
