পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে: হাফিজ আক্তার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রথম নিবৃত করার চেষ্টা করে। এজন্য নেগোসিয়েশন করার চেষ্টা করা হয়। দুই পক্ষকে নিয়েই আলোচনার চেষ্টা হয়। একটি মানুষ নিহত তো দূরে আহতও যেন না হয় সে চেষ্টাই করে পুলিশ। কিন্তু গতকাল অনাকাঙ্খিতভাবে এক কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী নিহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। পুলিশ কিন্তু শুরু থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকাই পালন করেছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার এসব কথা বলেন।
সংঘর্ষ চলাকালে রমনার এডিসির ভূমিকা, গুলি-বারুদ শেষ হওয়ায় অন্য পুলিশ সদস্যকে থাপ্পড়, সার্বিক পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্ররা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা কলেজ ঐতিহ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান থেকে যারা বের হয়েছেন তাদের অনেকে ভালো অবস্থানে আছেন। করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সামনে ঈদ। ব্যবসায়ীদের গুরুত্বপূর্ণ সময়। এরমধ্যে নিউমার্কেটের শ্রমিক-ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জেরে সংঘাত হয়, মারামারি হয়। প্রচুর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
তিনি বলেন, উভয়পক্ষকে নিয়েই পুলিশ শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পুলিশের সমঝোতা ছাড়া উপায়ও থাকে না। দ্বিতীয়ত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয়পক্ষকেই সরে যেতে বলেছি। তৃতীয়ত, নন লেথাল উইপেন ব্যবহার করা। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। পুলিশ সেটাই কাল করেছে। তবে এতো কিছুতে পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক করা সম্ভব না হয় তখন পুলিশ কঠোর ডিসিশনে যায়।
হাফিজ আক্তার বলেন, ব্যবসায়ী-ছাত্রদের মধ্যকার সংঘাতের প্রথম রাতে কোন পরিস্থিতিতে এডিসি ধাপ্পড় মেরেছে ও গুলি শেষ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আপাতত পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাতেই মনোযোগী।
ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে উল্লেখ করে ডিএমপির এ অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সামনে ঈদ। কালকের পর থেকে কলেজগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ছাত্র-ব্যবসায়ীদের মধ্যকার তুচ্ছ ঘটনা থেকে সূত্রপাত হওয়া সংঘাতের সমাপ্তি জরুরি। ব্যবসায়ীদের সন্তানরাও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন।
কেএম/টিটি
