কলেজের ভেতর শিক্ষার্থীরা, মার্কেট পাহারায় ব্যবসায়ীরা

দিনভর সংঘর্ষের পর রাতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন নিউমার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারী। কারণ কলেজ কর্তৃপক্ষের ক্যাম্পাস ত্যাগের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এমন সিদ্ধান্তের পরই মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর ফের সড়কে অবস্থান নেয় তারা। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আসা বিভিন্ন হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, সবাই চলে গেলে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হবে। এজন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে পাহারায় নেমেছেন দোকান মালিক ও কর্মচারী।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) নিউমার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
নিউমার্কেটের হকার্স ব্যবসায়ী জুলহাস বলেন, আমরা জানতে পেরেছি সবাই চলে গেলে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করবে। প্রতিষ্ঠান ঠিক রাখার জন্য আমরা রাতে পাহারা দিচ্ছি।
নিউমার্কেটের দুই নম্বর গেটের সামনে ব্যবসা করেন পলাশ আহমেদ। তিনি বলেন, কাল থেকে এ পর্যন্ত আমি এবং আমার কর্মচারী পাহারা দিচ্ছি। কারণ আমরা অনেক ধার-দেনা করে ব্যবসা করছি যদি কোনও ক্ষতি হয়ে যায় তাহলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এ জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের দক্ষিণ পাশে অবস্থান করছে ব্যবসায়ীরা এবং ঢাকা কলেজের এক নাম্বার গেটে (উত্তরের দিকে) অবস্থান করছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. শফিক বলেন, এখনও দেখছি দুই পক্ষই দুই পাশে অবস্থান করছে। বিকালের পর থেকে কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তবে নিউমার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্যে আমাদের হুমকি দিয়েছে। মাঝে মাঝে তারা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সামলাতে আমরা পাহারা দিচ্ছি।
তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তারা বলছেন,এসব বিষয়ে কথা বলতে হলে আমাদের উপরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিকালের পর থেকে ঘটনা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে এসে কথা দিয়েছে আর কোনো ঘটনা ঘটবে না। তবে এ ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। বিস্তারিত পরে গণমাধ্যমে জানানো হবে।
কেএম/এসআইএইচ
