শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত চার শতাধিক, নিহত ১

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চার শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রধান সমন্বয়ক শহিদ আ ন ম নজিব উদ্দিন খান ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
এ সময় নজিব উদ্দিন খান বলেন, ‘এ সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের চার জন শিক্ষার্থী গুরুত্ব আহত হয়েছেন। একজনকে ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী দেখেছেন। এ ঘটনায় অন্তত ২০০ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানলে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে চলবে। আমরা দেখব ঈদের আগে কীভাবে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলা রাখে।’
ছাত্রাবাস ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্রাবাস ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। জীবন গেলেও আমরা ছাত্রাবাস ছাড়ব না এবং নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছে পরাজয় মানব না।’
হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় অসংখ্য ব্যবসায়ীরা আহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী-কর্মচারী আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে একটি ছেলে মারা গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে অবিলম্বে নিউমার্কেট খুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।’
ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো.আব্দুল কুদ্দুস সিকদার বলেন, ‘ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২০০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকসহ কত মানুষ আহত হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখনো আমরা জানতে পারিনি। তবে শুনেছি অসংখ্য মানুষ এই সংঘর্ষে আহত হয়েছে।’
সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত একজন পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। নাহিদ হোসেন (২০) নামের ওই তরুণ ডি-লিংক নামের একটি কুরিয়ার সার্ভিসের ‘ডেলিভারিম্যান’ হিসেবে কাজ করতেন।
কেএম/এসএ/
