রাজধানীতে ভয়াবহ যানজট

প্রতিদিন যানজটের যন্ত্রণায় অতিষ্ট রাজধানীবাসী। আজও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ব্যাপক যানজট লেগে আছে। সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই এ যানজটের চিত্র ছিল চোখে পড়ার মতো।
রাজধানীবাসীর অভিযোগ, রমজান শুরুর আগে থেকেই দিন-রাত যানজট লেগেই আছে। যানজট রোধে সরকারিভাবেও তেমন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে যানজটের কারণে প্রতিদিন জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে।
অনেকেই জানান, দিন যত যাচ্ছে, রাজধানীতে যানজটের পরিমাণ ততই বাড়ছে। একদিকে রমজান, গরম, অন্যদিকে রাস্তায় বের হলে শব্দ দূষণ আর যানজটের শিকার হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে রাজধানীর ঘুরে দেখা যায়, পুরান ঢাকা, গুলিস্থান, নিউমার্কেট, আজিমপুর, শাহবাগ, মৎস্য ভবন মোড়, হাইকোর্টের মোড়, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা, মেরুল বাড্ডা উত্তর, বাড্ডা, মহাখালী, সাতরাস্তা, মিরপুর, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজটে থমকে আছে গাড়ি।
এদিকে, তেজগাঁও সাতরাস্তার মোড়ে আজ ভয়াবহ যানজটের কবল পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলরত মানুষ। এ সড়কে দিনরাত যানজট লেগেই থাকছে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।
দেখা গেছে, রমজানের শুরু থেকেই রাজধানীতে ভয়ঙ্কর যানজটের দৃশ্য। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করলেও কোনোভাবে যানজট কমছে না।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি কিন্তু রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও মেট্রোরেলের কাজ চলমান থাকার কারণে রাস্তায় অতিরিক্ত যানজট তৈরি হচ্ছে। এখন মানুষ কেনাকাটার জন্য রাস্তায় বের হচ্ছে, যার জন্য আরও যানজট বেশি হচ্ছে।
সাতরাস্তায় কথা হয় গার্মেন্টসে কর্মরত ইমরান আলির সঙ্গে। তিনি বলেন দু'ঘণ্টা ধরে গাড়ির মধ্যে বসে আছি। মগবাজার ফ্লাইওভার এবং সাতরাস্তার মোড় পুরাটাই যানজট।
প্রেসক্লাব মোড়ে কথা হয় মাসুদ আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাজধানীতে শব্দ দূষণ আর যানজটের কবলে পড়ে নাকাল অবস্থা আমাদের। এ দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই! ঢাকায় এভাবে বসবাস করা যায় না, ঢাকা ছেড়ে দিতে হবে।
মিরপুরে যাত্রী মামুন শেখ বলেন, অসহনীয় যানজট রাস্তায়, যানবাহন থেকে হাঁটার গতি বেশি। তাই হেঁটেই নিজ গন্তব্যে যাব।
গাবতলীর যাত্রী মাস্টার মোকলেস মিয়া বলেন, ঢাকাতে যানজটের কমার কোনো লক্ষণ নেই। সঠিক পরিকল্পনা না নিলে এ শহর যানজটে পরিণত হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যানজট কমানোর পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় অকেজো হয়ে যাবে ঢাকা।
এদিকে একাধিক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে কেনাকাটায় যুক্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এজন্য আজকে রাস্তায় যানজট বেশি হচ্ছে।
মহাখালী এলাকায় ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মনসুর আলী বলেন, মহাখালীতে সব মার্কেট খোলা। এ সব মার্কেটে ঈদে বেচাকেনা জমে উঠছে। এ কারণে অতিরিক্ত মানুষ রাস্তায় বের হওয়ায় যানজট বেশি দেখা যাচ্ছে।
গুলিস্তানে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, রাস্তায় যানজট হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে এর মধ্যে মেট্রোরেলের কাছে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কেনাকাটায় যুক্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এজন্য যানজটের পর যানজট তৈরি হচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি।
কেএম/আরএ/
