পানিতে দুর্গন্ধ, দুর্ভোগে আজিমপুরবাসী

রাজধানীর লালবাগ, আজিমপুর এলাকায় ওয়াসার পানি দুর্গন্ধযুক্ত। আর এ পানি খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অনেকদিন ধরে এলাকার পানিতে দুর্গন্ধ। তারা বেশ কয়েক মাস ধরে দুর্গন্ধযুক্ত পানি পান করছিলেন, বারবার ওয়াসার কাছে অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা পাননি। প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওয়াসা কাজ করেনি বলেও এলাকাবাসী জানায়। তারা বলেন, ওয়াসা বলেছিল দুর্গন্ধমুক্ত পানি দিবে, দিয়েছে দুর্গন্ধযুক্ত পানি।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) আজিমপুর এলাকার, পুরান ঢাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলবাগ, আজিমপুর রোড, বটতলা, বিসি দাস স্ট্রিট, লালবাগ রোড, আজিমপুর সরকারি কলোনী, পলাশী সরকারি কলোনী, ঢাকেশ্বরী রোড, পিসি দাস রোড, চায়না বিল্ডিং এলাকা, পলাশী কোয়ার্টার, লালবাগসহ এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে এ পানির সমস্যার কথা জানা গেছে।
এ এলাকায় বসবাসরত ইলেকট্রনিক মিস্ত্রী আবুল হোসেন বলেন, ‘রমজানের কয়েক মাস আগে থেকে পুরা আজিমপুর এলাকার পানিতে প্রচুর দুর্গন্ধ। পানি পান করা যায় না; কিন্তু ওয়াসা এবং জনপ্রতিনিধি কেউ বিষয়টি মাথায় নিচ্ছেন না।’
ছাপড়া মসজিদ এলাকায় বসবাসরত খন্দকার পলাশ আহমেদ বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি, পানিতে দুর্গন্ধ। ওয়াসার জরুরি নাম্বারে ফোন করে বলছি; কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। রমজানের আগে থেকে এ দুর্ভোগ নিয়ে আছি, বাধ্য হয়ে পানি কিনে খাচ্ছি।’
শহীদ নগর এলাকায় বসবাসরত আব্দুল হাকিম লাল বলেন, ‘ভাড়াটিয়ারা থাকতে চাচ্ছে না পানিতে দুর্গন্ধের কারণে। ওয়াসার বিল তো নিয়মিত দিচ্ছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না।’
এলাকায় বসবাসরত একাধিক মানুষ জানান, অনেকদিন ধরে তারা দুর্গন্ধযুক্ত পানি পান করছে। যার কারণে অনেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, কাউন্সিলর অফিসে ও অভিযোগ করে কোনো লাভ হয়নি। এ অবস্থায চলতে থাকলে শিশুসহ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘এলাকার কোনো মানুষ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। তবে ওয়াসার পানি দুর্গন্ধযুক্ত এটা জানি। আমি দেখব বিষয়টা। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ মানে আমার দুর্ভোগ। আমার এলাকার কোনো মানুষ কষ্টে থাকবে না, তাদের যেকোনো সমস্যায় আমি সব সময় পাশে আছি। আপনারা আমার এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন ইনশাল্লাহ সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নিয়ে কাজ করি।
এ বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ওয়াসার এমডি তাকসিম আহমেদকে কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
কেএম/এসএ/
