রাজধানীর অলি-গলিতেও ব্যাপক যানজট

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কেই শুধু নয়, অলি-গলিতেও ব্যাপক যানজট দেখা গেছে। প্রায় প্রতিদিন যানজটের যন্ত্রণায় ভুগছে রাজধানীবাসী। ঢাকায় বসবাসরত মানুষের অভিযোগ, রাস্তায় দিন-রাত যানজট লেগেই আছে। যানজট রোধে সরকারিভাবেও তেমন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে যানজটের কারণে প্রতিদিন জনদুর্ভোগ বাড়ছে। আর চলাচলরত সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ–দিন যত যাচ্ছে, রাজধানীতে যানজটের পরিমাণ ততই বাড়ছে। একদিকে রমজান, গরম, অন্যদিকে রাস্তায় বের হলে শব্দ দূষণ আর যানজটের শিকার হতে হচ্ছে।
রবিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে, রাজধানীর গুলিস্থান, নিউমার্কেট, আজিমপুর, শাহবাগ, মৎস্য ভবন মোড়, হাইকোর্টের মোড়, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা, মেরুল বাড্ডা উত্তর, বাড্ডা, মহাখালী, সাতরাস্তা, মিরপুর,সাত রাস্তা, তেজগাঁও সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যানজটের এসব চিত্র ছিল চোখে পড়ার মতো।
দেখা গেছে, রমজানের শুরু থেকেই রাজধানীতে ভয়ংকর যানজটের দৃশ্য। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করলেও কোনো ভাবে যানজট কমছে না। যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি কিন্তু রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও মেট্রোরেলের কাজ চলমান থাকার কারণে রাস্তায় অতিরিক্ত যানজট তৈরি হচ্ছে।
মিরপুরে যাত্রী আব্দুল কাদের বলেন, ‘অসহনীয় যানজট এখন রাজধানীতে, যানবাহন থেকে হাঁটার গতি বেশি। তাই হেঁটেই নিজ গন্তব্যে যাচ্ছি।’
প্রেসক্লাব মোড়ে কথা হয় সবুজ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে শব্দ দূষণ আর যানজটের কবলে পড়ে নাকাল অবস্থা আমাদের। এ দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই!’
শাহবাগ মোড়ে কথা হয় আশুলিয়ার যাত্রী নজরুল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় বাস চলছে সামান্য সময় কিন্তু একটি সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ৪০-৫০ মিনিট। আবার কোনো যায়গায় ঘণ্টার বেশি পার হয়ে গেলেও গাড়ি চলছে না।’
শাহবাগে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. ইমাম হোসেন বলেন, ‘শাহবাগে বেশি যানজট হওয়ার কারণ হলো মেট্রোরেল, এর কারণে রাস্তাটি একেবারে ছোট হয়ে আছে। রাস্তায় গাড়ি ধরে কম এজন্য যানজট বেশি থাকে।’
পলাশী মোড়ে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রাজু আহমেদ বলেন, ‘সকাল দশটার পর রাজধানীতে যানজট বেড়ে যায়। কারণ নিউ মার্কেটে বেশি গাড়ির চাপ থাকে, আবার রাস্তার লেন ধরে ঠিক মতো চলে না, এজন্য বেশি যানজট তৈরি হয়। তবে যানজট নিরসনে আমরা সবসময় কাজ করছি।’
কেএম/এসএ/
