বিজিবির স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে ৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উদযাপন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২৬ মার্চ) দিনের শুরুতেই ফজরের নামাজের পর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন কামনা করে পিলখানাসহ সারাদেশে বিজিবির সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এরপর বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। একই সময়ে বিজিবির অন্যান্য সকল ইউনিটে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয়।
এ ছাড়া, সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে বিজিবি মহাপরিচালক পিলখানার স্মৃতিসৌধ ‘সীমান্ত গৌরব’-এর বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় বিজিবির একটি সুসজ্জিত চৌকস দল ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। এর পাশাপাশি রাঙামাটির নানিয়ারচরে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ এবং যশোরের শার্শা উপজেলার কাশীপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর সমাধি স্থলে সংশ্লিষ্ট রিজিয়ন কর্তৃক বিজিবি মহাপরিচালকের পক্ষ হতে গার্ড অব অনার এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিজিবি সদস্যদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন, ‘বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠ এবং স্বাধীনতা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, বিজিবির সকল ইউনিটে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পিলখানায় বিজিবি যাদুঘর সকলের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়। বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় বিজিবির বাদকদল বাদ্য পরিবেশন করে। সন্ধ্যার পর পিলখানাসহ সারাদেশে বিজিবির সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।
এ ছাডা দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেনাপোল-পেট্রাপোল, বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি ও আখাউড়া-আগরতলা আইসিপিসমুহে বিজিবি-বিএসএফ কর্তৃক জমকালো যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি জানায়, এর পূর্বে (২৫ মার্চ) গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৯৭১ সালের কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জঘন্যতম নারকীয় গণহত্যাকাণ্ডে নিহত শহিদদের স্মরণ ও তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে জুম্মার নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং রাত ৯টা ১ মিনিটে বিজিবি সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, সেক্টর এবং ইউনিটে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কেএম/এমএমএ/