আমিও মরে যেতে পারতাম: প্রীতির বন্ধু সুমাইয়া
নিহত প্রীতির বন্ধু সুমাইয়া
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪)। এ ঘটনায় সামিয়া আরেফিন প্রীতি নামে বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অনার্সের এক শিক্ষার্থীও নিহত হয়েছেন। টিপুর গাড়ির কাছেই এক রিকশায় ছিলেন প্রীতি ও তার বন্ধু সুমাইয়া।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) ঢাকাপ্রকাশের সঙ্গে কথা হয় নিহত সামিয়া আরেফিন প্রীতির বন্ধু সুমাইয়ার সঙ্গে। সুমাইয়া প্রথমে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। আমাকে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে’। তবে পরে তিনি এ ঘটনার বর্ণনা করেন।
সুমাইয়া জানান, রাতে তার বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশা করে বের হন প্রীতি। ঘটনার সময় টিপুর গাড়ির পাশেই ছিল প্রীতি ও সুমাইয়ার রিকশা।
সুমাইয়া বলেন, প্রীতির বাসা মালিবাগে। তার বাসায় আত্মীয় থাকায়, ও আমাদের তিলপাপাড়ার বাসায় থাকবে বলে আসছিল। আমি প্রীতিকে আনতে শাহজাহানপুর আমতলায় যাই। পরে আমাদের বহনকারী রিকশাটি সিগন্যালে থামতেই বিকট শব্দ হয়। ভেবেছিলাম কোনো গাড়ির টায়ার ফেটেছে। শব্দ শুনে একপর্যায়ে আমরা দুজন রিকশা থেকে লাফ দেই। পরে দেখি রাস্তার আশপাশের লোকজন ছুটাছুটি করছে।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে আমি ওখানে গিয়ে দেখি প্রীতি মাটিতে শুয়ে আছে। ও আর উঠছে না। পাশের একজন এসে বলেন সে হয়ত অজ্ঞান হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক আমিও তাই মনে করেছি। কিন্তু ওর পাশ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে যাওয়া দেখে বুঝতে পারি সে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
‘আমিও মরে যেতে পারতাম হয়তো’ বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সুমাইয়া। তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে আর কথা বলতে পারছি না।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় রিকসা আরোহী সামিয়া আরেফিন প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনজনকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেএম/এসএন