২০২৩ সালের মধ্যেই বাসাবাড়িতে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে
২০২৩ সালের মধ্যেই বাসাবাড়িতে কার্যকর পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘নিরাপদ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালার শেষ দিনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা ২০২২ সালের মধ্যে এই বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করব। ২০২৩ সালের মধ্যেই রাজধানীর অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদের নিজস্ব উদ্যোগে বাসাবাড়িতে কার্যকর পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, লেক ও খালগুলো দূষিত, বৃষ্টির পানি নামার সাধারণ নর্দমা দিয়ে মানুষের পয়োবর্জ্য খালে বা লেকে গিয়ে পতিত হয়। এটা রাজধানীবাসীর জন্য বিরাট স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এটা আর চলতে দেওয়া যায় না।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের পর খালে বা সার্ফেস ড্রেনে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগ পাওয়া গেলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ডিএনসিসি আওতাধীন খালগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক খালে রূপান্তর করা হবে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এটি করতে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা। জনসচেতনা তৈরি করে এটি করতে হবে। লেক-খালগুলোকে আমরা রোগ জীবাণু ছড়ানোর কারখানায় পরিণত করতে পারি না।
প্রাণের শহর ঢাকার খালগুলো ডাস্টবিন বানানো যাবে না মন্তব্য করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিগত সময়ে আমরা জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে খালে প্রাপ্ত বাসাবাড়ির পরিত্যক্ত বর্জ্যের প্রর্দশনী করেছি, আমার এর পুনরাবৃত্তি চাই না। পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সংযুক্ত করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ সমস্যা সমাধান সম্ভব।
কর্মশালায় ১৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার প্রদর্শনী এবং প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে আধুনিক পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আমরা জানতে পারছি বলে মেয়র মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র প্রধান অতিথিকে নিয়ে স্টলগুলো পরিদর্শন করেন এবং স্টল পরিদর্শন শেষে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
সাংবাদিক মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় আরও অংশ নেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, ইউনিসেফের ওয়াশ বিভাগের প্রধান জাইদ জুরজি, রাজউকের চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সম্মানিত কাউন্সিলররা।
আরইউ/আরএ/