শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে অধ্যাপক, ছাত্র-ছাত্রী খুব কম

লেখা ও ছবি : নুরুল ইসলাম রুদ্র, শাবিপ্রবি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষার উচ্চতর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের গোলচত্বর ও ডি-বিল্ডিংয়ের মাঝে সুসজ্জিত, চোখ জুড়ানো এই চারতলা ভবন। ১৯৯০ সালে মোটে চারটি ঘরে, সামান্য বই নিয়ে অ্যাকাডেমিক ভবন ‘এ’তে চালু হয়েছে গ্রন্থাগারটি। এখন নিজেদের ভবনটি আছে। তার তৃতীয় ও চতুর্থ তলা জুড়ে লাইব্রেরি কার্যক্রম চলছে।

অনলাইনে আছে, মোট ৭৫ হাজার বই আছে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে। ছয় হাজার কপি জার্নাল ও সাময়িকী রয়েছে। প্রতিদিন ২৩টি সংবাদপত্র ব্যবহারকারীদের জন্য রাখা হয়। অনলাইন সেবা আছে গ্রন্থাগারটির। ২৫ হাজারের বেশি ই-জার্নাল ও ই-বুক এবং ই-গবেষণাপত্র আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে চুক্তিতে তাদের ই-লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারেন তারা। ইউজিসি ডিজিটাল লাইব্রেরির ৩৭ হাজার ৫শ ই-বইগুলো ব্যবহার করতে পারেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আইপিএস ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সেবাগুলো প্রদান করে। বিরাট এই গ্রন্থাগারের জন্য মোট আছেন ৩৮ জন অফিসার ও কর্মচার্রীর বিরাট দল। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কম্পিউটারাইজ সার্ভিস সেবা চালু করেছেন। এই গ্রন্থাগারের ই-লিংক হলো http://library.sust.edu. তাদের সিসিটিভি ব্যবস্থায় চালু থাকে সর্বক্ষণ। মোট ৩২টি ক্যামেরা আছে। মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার রয়েছে। তাতে মুক্তিযুদ্ধের বই, পোস্টারগুলো, মানচিত্রগুলো, ভিডিও, প্রমাণাদি আছে। ২০ হাজারের বেশি বই আছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোতে মোট নয় হাজার ছাত্র, ছাত্রী পড়ালেখা করেন। তাদের জন্য হাজারের বেশি অধ্যাপক আছেন। সবার বই পড়ার সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি। তাদের জন্য ১শর বেশি আসন আছে। পড়ালেখা ও গবেষণা কাজে ব্যবহারের জন্য শুক্র এবং শনিবার ছুটির দিন বাদে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মদিবসে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সর্বক্ষণ সেবা প্রদান করা হয়। ছাত্র, ছাত্রীরা গ্রন্থাগার সেবার সময় বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করেছেন। ফলে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে আটটার সময় বেড়ে হয়েছে রাত ১০টা। এই লেখাটির জন্য একটি সপ্তাহ টানা গ্রন্থাগার ভবন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ দিন রাত ৮টার পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ছাত্র, ছাত্রীরা থাকেন না। কোনো, কোনোদিন মোটে ৪ থেকে ৫ জন ছাত্র, ছাত্রী পড়ালেখা করছেন। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জনের বেশি ছাত্র, ছাত্রী এই গ্রন্থাগার ব্যবহার করছেন না। দিনে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতির সময় বেশিরভাগ ছাত্র, ছাত্রীর সামনে বই নেই। তারা পড়ালেখা করছেন না। অধ্যাপকদের দেওয়া ক্লাস শিট, নোট ও স্লাইড নিয়ে ক্লাসের পড়াই পড়ছেন। অনেকে মোবাইলে ব্যস্ত, ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন। বই পড়ছেন না কেন-এই প্রশ্নের জবাবে ছাত্র, ছাত্রীরা বলেছেন, আমাদের কোনো কোর্স কোনো নিদিষ্ট বই ধরে পড়ানো হয় না। অধ্যাপকরা একাধিক পাঠ্য বই মিলিয়ে পড়ান ও সেগুলো কিনে পড়তে পরামর্শ দেন। লাইব্রেরি থেকে সংগ্রহ করতে বলেন। তবে এই বিদেশী বইগুলোর অনেক দাম বলে কেনার সামর্থ্য বেশিরভাগেরই হয় না। আপডেট এই বইগুলো কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিও কোর্স এবং বিষয় ধরে রাখে না। ফলে কোনো বই কেনা হয় না। অধ্যাপকদের দেওয়া ক্লাস শিট ও তৈরি নোটই ভরসা থাকে। এজন্য সেগুলো এখানে পড়ালেখার জন্য নিয়ে আসেন তারা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীদের আরেকটি অভিযোগ হলো, বই ও খাতা-কলম বাদে ব্যক্তিগত আর কোনোকিছু গ্রন্থাগারে নিয়ে আসতে দেওয়া হয় না। তাতে তারা আর কিছু দরকার হলেও আনতে পারেন না। অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ তাদের সব বিভাগের গ্রন্থাগারেই এই ব্যবস্থা চালু আছে।
গ্রন্থাগার ব্যবহার করা ছাত্র, ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, আমাদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বেশিরভাগ বই হলো ইংরেজি ভাষার। বইগুলো পুরোনো। আমাদের ইংরেজি মাতৃভাষা নয় ও বইগুলো হাল আমলের নয় বলে পড়তে কষ্ট হয়। তারা জানিয়েছেন, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের টানা ২৫ বছরের কর্মস্থল এই গ্রন্থাগারে বাংলা ভাষার বই খুব আছে। যেগুলো রয়েছে, বেশিরভাগ সময় খুঁজে এনে দিতে পারেন না লাইব্রেরির স্টাফরা। তাতে পড়ার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষে। এই আলাপে বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাজকমের ছাত্র রুবিয়ান শান বলেছেন, ‘অনেক খুঁজেও আমাকে পড়ার মতো কোনো মানসম্পন্ন বাংলা বই একবার তারা এনে দিতে পারেননি। ফলে গ্রন্থাগারে আসতে ভালো লাগে না।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘সময়ের হাত ধরে ভালো মানের ইংরেজি ও বাংলা বইগুলো থাকলে আমাদের আসতে ইচ্ছে করবে, গ্রন্থাগারে পড়তে ভালো লাগবে।’ চাহিদার বইয়ের অভাব এবং বাইরের ভালো বই না নেবার নিয়মেও তাদের অনেকে গ্রন্থাগারে আসতে চান না।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব ভালো একটি নিয়ম হলো-এখানে চাকরির গাইড বা এমন কোনো বই নিয়ে আসা যায় না। সেখানে অ্যাকাডেমিক বইও নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কেবল ক্লাস নোট গ্রন্থাগারে বসে কেন পড়ছেন-এই প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র হাসিবুল কবীর শিমুল বলেছেন, ‘আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে গভীর জ্ঞানের চেয়ে পরীক্ষার ফলাফলকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের সবখানে। আমরা জানি, ক্লাসে শিক্ষকদের দেওয়া লেকচারের নোট নিয়ে, অ্যাসাইনমেন্ট করে মোটামুটি ভালো ফলাফল করা সম্ভব হয়। তাই জ্ঞানের খোঁজে বই না পড়ে অল্পতে ভালো ফল করতে, সময় কম দিয়ে শিট পড়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছি সবাই।’ তবে এই ছাত্রটি জানালেন, ‘ভালো মানের গবেষক হতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বলেছেন, ‘যারা বিদেশে গবেষণায় যেতে চান, তাদের অনেকে বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সেভাবে ক্যারিয়ার গড়েন।’
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সবচেয়ে বড় সুবিধাটির কথা জানালেন সমাজকমের ছাত্রী সানজিদা নওরিন সুবর্ণা, ‘আমাদের গ্রন্থাগারটি বাদে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভবনের কোথাও রিডিং রুম নেই। তবে এখানে কোর্সের, প্রচলিত ও আমাদের উপযোগী আধুনিক বইগুলো না থাকায় আমরা কেউ ভালোভাবে পড়ালেখা করতে পারি না।’
ছাত্র, ছাত্রীদের এই সমস্যাগুলোর সমাধান এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার নিয়ে বলতে গিয়ে প্রশাসক ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিজুল বাতেন ঢাকা প্রকাশের বিশ্ববিদ্যালয়র প্রতিনিধি ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নুরুল ইসলাম রুদ্রকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কেন্দ্রীয় নীতিমালা হলো-কোনো ছাত্র, ছাত্রী, অধ্যাপক সঙ্গে করে কোনো বই নিয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারবেন না। সাধারণ কিছু সমস্যা হয় বলে আগে থেকে নিয়মটি চালু আছে। কেন্দ্রীয়ভাবে পরিবর্তন করা না হলে প্রশাসক হিসেবে আমার পক্ষে সিদ্ধান্তটি পরিবতন করা সম্ভব নয়।’
অধ্যাপক ড. আজিজুল বাতেন ছাত্র, ছাত্রীদের চাহিদানুসারে বই অপ্রাপ্তির বিষয়ে বলেছেন, ‘প্রতি বছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে যেসব বই অর্ন্তভুক্ত করা হয়, সেগুলো বিভাগগুলোর মাধ্যমে আসে। গ্রন্থাগারের নিয়মে, প্রতিটি বিভাগকে তাদের ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকদের প্রতি বছরের চাহিদার বইগুলোর তালিকা দিতে অনুরোধ করা হয়। তাদের সেই বইগুলো আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে সবার জন্য কিনে রাখি। ফলে শিক্ষার্থীদের চাহিদাগুলো তাদের বিভাগগুলোতে বলতে হবে।’

ওএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত