গণধর্ষণের বিচার ও আন্দোলনে হামলার প্রতিকারে ষষ্ঠ দিনের লড়াই
লেখা ও ছবি : সফিকুল আহসান ইমন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ ও তার বিচারের দাবীতে আন্দোলন করা ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক, উপাচার্যের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার প্রতিকারের জন্য টানা ছয়দিনের আন্দোলনে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র, শিক্ষকরা।
আজ ১ মার্চ, রবিবার সকালেই তারা তাদের হামলায় পিছিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আশ্রয় স্থলের অন্যতম প্রশাসনিক ভবনের সামনে চলে এসেছেন। সাড়ে ৭টা থেকে গোপালগঞ্জের এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তাদের আন্দোলনের জন্য তৈরি করা অবস্থান কমসূচি মঞ্চ থেকে কান্তিহীন আন্দোলনে নেমেছেন। প্রথমেই আমাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত-`আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি' গান গেয়ে দেশাত্মবোধে উদ্দীপ্ত হয়ে তাদের আন্দোলন শুরু করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের, সব বর্ষের, সকল পদমর্যাদার ছাত্র, ছাত্রী, অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এই টানা আন্দোলনে শরিক হয়েছেন। তারা আমার বোন ধর্ষণের শিকার কেন? হামলাকারীদের বিচার চাই-ইত্যাদি বিভিন্ন শ্লোগানে মুখরিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা।
এরপর সকাল ১০টায় আন্দোলনের মঞ্চ থেকে তাদের ধারাবাহিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তারা তাদের পুরোনো একদফা দাবী-গণধর্ষণের অপরাধীদের উপযুক্ত বিচার চাই আবেদনটি সারা দেশের মানুষের কাছে আবারও পৌঁছে দেন। তারা তাদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার ও শাস্তি দাবী করেন। তারা তাদের সবার শতভাগ নিরাপত্তা ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবী জানান। এজন্য ও এইসব দাবী পূরণে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবেদন জানিয়েছেন। এবার সামনে ছিলেন ছাত্রীরা।
তারা আজ বিকাল চারটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ, সন্ত্রাসবিরোধী কনসার্টের আয়োজন করেছেন।
সন্ধ্যা ৭টায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে আলো হাতে মৌন মিছিলের মাধ্যমে আলোকিত করেছেন।
বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ শহরের (সদর) নবীনবাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ফিরে আসার সময় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে একদল সংঘবদ্ধ অপরাধী। তারা তাকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করেছে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ফুঁসে উঠেছে। তাদের অধ্যাপক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তারপর তারা সবাই আন্দোলনে গিয়ে উপাচার্যসহ সন্ত্রাসীদের তুমুল হামলার শিকার হয়েছেন। তবে এই আন্দোলন চলমান আছে।
ওএস।